ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, টেলিকম ডিভিশনের ভেতরে ক্যান্সারের মতন সমস্যা রয়েছে, তবে সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
৩ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানীর বিডিবিএল ভবনস্থ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি আমার দুইদিনের অভিজ্ঞতা। আমি বাইরে থেকে যা জানতাম, আমাদের সরকারের এই আইটি রিলেটেড এই এরিয়াতে এর চেয়ে হাজার গুণ বেশি সমস্যা আছে। আমি ধারণা করতে পারি নাই যে, টেলিকম ডিভিশনের ভেতরে ক্যান্সারের মতন সমস্যা বিরাজ করে এবং তার সমাধান করার জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার নিজের কাছে এটি অনেক দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছে, মাত্র এক রাত আমি কাটিয়েছি। এর মধ্যেই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত যারা সরকারি কর্মকর্তা তারা থেকে শুরু করে আমাদের নুরুল কবির পর্যন্ত আমার সাথে কথা বলেছেন, তারা প্রত্যেকেই এই এক্সপ্রেশেনটি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরা সাম হাউ- কোনো না কোনোভাবে একটি কানা গলির ভেতরে গিয়ে বসে আছি। এই কানা গলি থেকে বের হতে না পারলে আমরা যে স্বপ্নটি দেখি, তা কখনোই বাস্তবায়ন করতে পারব না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো উপলব্ধি করেছেন, তার মন্ত্রিসভায় আইটি রিলিটেড আরও কাউকে অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল- মন্তব্য করে মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, আইসিটি ডিভিশন এবং টেলিকম ডিভিশন দুইটির ভেতরে ভেতরে ঘুণে ধরা বিষয় ছিল বলেই প্রধানমন্ত্রী এই দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই মন্ত্রী বলেন, আমার হাতে সময় কম। মাত্র একটি বছর। আমাকে হেলে-দুলে কাজ করলে চলবে না। আমার যা করার, তা এই এক বছরেই করতে হবে। এ জন্য আপনারা আমাদের জানান কী কী করতে হবে। বাংলাদেশকে বদলাতে হলে সরকারের সব সেবাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এর পরেই গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা। এ সব কাজ করার জন্য আমি আগামী একবছর সংগ্রাম করে যাব।
‘আমি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ১০০ দিনের কার্যসূচি গ্রহণ করেছি। যার প্রথমে রয়েছে- ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং ইন্টারনেটের আওতায় সবাইকে আনা’, যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের পঞ্চম মৌলিক অধিকার ইন্টারনেটের মূল্য সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ জন্য অপারেটরদের পাশাপাশি বিটিআরসি দায়ী। বিটিআরসি এখনও ইন্টারনেটের দাম বেঁধে দিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, আমার জন্য দুইটি অফিস থাকবে। একটি থাকবে আগারগাঁওয়ে, অপরটি সচিবালয়ের ভেতরে। আগারগাঁওয়ে যেহেতু একজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন, সেহেতু এখানে আমার লোড কম থাকবে। তবে টেলিকমে তো আমাদের প্রতিমন্ত্রী নেই। সেজন্য এই বিভাগে আমাকে সময় দিতে হবে। তবে অনেক বেশি সময় থাকব আমি আগারগাঁতে, কারণ বহুজনের কাছে সচিবালয়ে ঢুকে কথা বলাটা খুব কঠিন কাজ হয়ে যেতে পারে, তবে খুব সহজে আমাকে আগারগাঁতে পাওয়া যাবে।
সূত্র:রাকিবুল হাসান-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.