সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ক্রীড়া / টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেলেন মাশরাফি

টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেলেন মাশরাফি

বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী (বামে) মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ডেভিড ইয়াং।

চোট, ইনজুরি; এই শব্দগুলো আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার। ইনজুরি ও মাশরাফি সমার্থক হয়ে উঠেছিল। ইনজুরির সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়তে হয়েছে তাকে। মাঠে ফিরতে সাতবার যেতে হয়েছে চিকিৎসকের ছুরিকাঁচির নিচে। তবুও দমে যাননি ডানহাতি এই পেসার। এখনও খেলে যাচ্ছেন চোটে জর্জরিত দুই হাঁটু নিয়ে। কিন্তু প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে খেলতে পারছেন না পছন্দের টেস্ট ফরম্যাটে। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০০৯ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে তিনি টেস্ট দলে ফিরতে প্রস্তুত। এভাবে এর আগেও শুভ্র-সফেদ জার্সির ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক। বারবার বাধা হয়ে এসেছে ইনজুরিপ্রবণ হাঁটু আর টেস্ট খেলার ফিটনেসের অভাব। তবে মাশরাফিকে বারবার ইনজুরি থেকে ফিরিয়ে আনা চিকিৎসক ডেভিড ইয়াং জানালেন, টেস্টে খেলার উপযুক্ত তিনি। মাশরাফিকে রীতিমতো টেস্ট খেলার ছাড়পত্র দিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক।

মাশরাফির দুই হাঁটুর সাতটি অস্ত্রোপচারের ছয়টিই করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ। সেই সূত্রে মাশরাফির সঙ্গে তার সখ্য। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আমন্ত্রনে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার সফরের অংশ হিসেবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টদের কর্মশালায় উপস্থিত হন তিনি। সেখানেই মাশরাফির সঙ্গে দেখা হয় তার।

এরপর মাশরাফিকে নিয়ে ইয়াং বলেন, ‘প্রতিটি দলেরই একজন নেতা প্রয়োজন। যে শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নয়, সবসময়ই একজন নেতার ভূমিকা পালন করবে। মাশরাফি সবসময়ই একজন নেতা। আর টেস্ট দলে সব সময়ই ওর জন্য একটা জায়গা থাকবে। ওর সামর্থ্য সম্পর্কে আমার উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, ও পারবে। বিষয়টি এমন না যে, টেস্ট খেলতে তাকে দলের সেরা খেলোয়াড় হতে হবে কিংবা সুপারস্টার হতে হবে।’

মাশরাফি এখনও খেলে যাচ্ছেন। ছুটে চলেছেন দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে। এর জন্য তিনি ইয়াংকে ধন্যবাদ দিতে কার্পণ্য করেন না। তবে মাশরাফির এই ছুটে চলায় নিজের অবদানকে বড় করে দেখেন না ইয়াং। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি একজন পেশাদার অ্যাথলেট। সে এই খেলা আর দেশের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। আমি বলতে পারি ওর ক্যারিয়ারে আমার অবদান খুবই কম। ও যেভাবে ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছে, ক্যারিয়ারকে বড় করেছে তা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ।

কেবল মাশরাফির হার না মানা মানসিকতাই নয়, ব্যক্তি মাশরাফিতেও মুগ্ধ ইয়াং, ‘এমনটা জীবনে একবারই ঘটে। মাশরাফির ব্যাপারে আমি যা পছন্দ করি, ও খুব ভালো একজন মানুষ। সে দানশীল, কাছের মানুষ ও সতীর্থদের প্রতি দায়িত্বপরায়ণ। মাশরাফির জন্য বাংলাদেশকে গর্বিত হওয়া উচিত। মাশরাফি দেশ ও দেশের খেলাধুলার জন্য একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।’         সূত্র:জুবায়ের আহমেদ তানিন-priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/Khorshida-Jannat-Sagar-14-5-224.jpeg

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফাহমিদা বেগমের সাথে ঈদগাহ হাই স্কুল প্রধান শিক্ষকের সাক্ষাৎ 

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগমের সাথে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/