সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / তরুণ আলো প্রকল্প-ইলমা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র আয়োজনে চকরিয়ায় ইমামদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

তরুণ আলো প্রকল্প-ইলমা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র আয়োজনে চকরিয়ায় ইমামদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন


মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
‘‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা নিরসনে ইমামদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌরশহরের আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে ‘তরুণ আলো প্রকল্প ‘ইলমা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ এর আয়োজন করেন।

উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ আন্ওয়ারী ও বাংলাদেশ জাতীয় মুফাস্সির পরিষদ কক্সবাজার শাখার সেক্রেটারী মাওলানা শফিউল হক জিহাদী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- উপাধ্যক্ষ ফয়েজ উল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন চকরিয়া শাখার সুপারভাইজার আমির হোসেন, মাওলানা আহমদ কবির, মো.আকতারুজ্জামান, ফজলে এলাহী, হাফেজ আজিজুল হক, মো.জুলফিকার, মোরশেদুল আলম রাজবী, মো:নুরুল আবছার, মাহমুদুল হক এরশাদ, হারুনুর রশিদ, আবদুল খালেক, আমির উদ্দিন, এমরান হোছাইন, মো: রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ, আবুল কাসেম, মো: মোরশেদুল আলম, মো: আবুল হাসেম, তরুণ আলো কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, আদিলুর রহমান, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রশিক্ষনে চকরিয়া উপজেলার বিশটি জামে মসজিদের খতিব ও ইমামগন সক্রিয় অংশগ্রহন করে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণে কর্মশালায় আটটি বিষয় যথাক্রমে তরুণদের ইতিবাচক জীবন, দায়িত্বশীল তরুণের বৈশিষ্ট্য এবং দেশের প্রতি দায়দায়িত্ব, ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদের সম্পর্ক,মাদক, উগ্রবাদ ও সহিংসতা এবং তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে তরুণদের সুরক্ষা, সামাজিক সম্প্রীতি ও ভাবনা, জাতি গঠনে তরুণদের ভুমিকা, সবাই মিলে মিশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান (সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি), সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে মাদ্রাসা,স্কুল ও কলেজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রশিক্ষণের শুরুতে তরুণ আলো প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন প্রজেক্ট ম্যানেজার ফোরকান মাহমুদ।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ আন্ওয়ারী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মীয় নেতারা ইহকাল এবং পরকালের মঙ্গলে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলেই সমাজে মাতা-পিতার পর ইমামরা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এই শ্রদ্ধা একজন ইমাম তার জ্ঞান, দর্শন ও দৈনন্দিন আচরণের মাধ্যমে তৈরি করেন এবং অনুসারীদের আচরণগত দিক পরিবর্তন করে শান্তিরদিকে ধাবিত করতে সক্ষম হন তাই, জঙ্গীবাদ ও সহিংসতা নিরসনে ধর্মীয় নেতা হিসেবে সমাজে ইমামদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদকে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/