দুই বছর তিন মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের বরখাস্ত হয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী।
২ এপ্রিল রোববার বেলা দুইটায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এক চিঠির মাধ্যমে আরিফুলকে সাময়িক বহিষ্কারের খবর জানায়।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি নগরের কুমারপাড়ার বাসা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ হেঁটে নগর ভবনে পৌঁছান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়টা কেটে গেল। এখন শেষ দিকে এসে দায়িত্ব ফিরে পেয়েছি। নতুন করে দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগিতা চাই।’
তিনি আরও বলেন, আমি জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা পূরণে কাজ করতে চাই। বিনা দোষে আমাকে ২৭ মাস জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।
২০১৩ সালে ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হত্যাকান্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সিলেটের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
চলতি বছরের চার জানুযারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আরিফুল।
রিট আবেদনের শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গত ১২ মার্চ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৩ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.