এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর পাল পাড়া হয়ে ভাদীতলা, শিয়াপাড়াসহ ভোমরিয়া ঘোনা যাতায়াতের একমাত্র গরুর হালদা সড়কের ঝরার্জীণ কাঠের সাঁকোটি দীর্ঘ পনর বছর ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকায়, হতাশ হয়ে পড়েছেন বৃহত্তর এলাকার জনগোষ্টি। সে দাবী আজ অবদিও পূর্ণ হয়নি। এমনকি এই সাঁকো দিয়ে ঝুকিঁ নিয়ে পারাপার করছে শত শত নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। কাঠের খুঁটিগুলো পানিতে ভিজে নরম হয়ে লঙ্কর ঝঙ্কর হয়ে প্রায় ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা বললেই চলে। এতে করে বহুকাল যাবত দেখার কেউ না থাকায় বিপাকে পড়েছে অসহায় এলাকার লোকজন। বর্তমানে এ সাঁকো দিয়ে ৪/৫ হাজার মানুষের চলাচল এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্কুল, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারন লোকজনের পথচলা প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়দের চলার একমাত্র ভরসা গরুর হালদা সড়কটির মাঝপথে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত দুয়েক বছর পূর্বেই উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। সে থেকে চলাফেরা করতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তবে এলাকার স্থানীয়দের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করলেও তা দিন দিন ঝুঁকির দিকে ধাবিত হচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে কাঠের সাঁকোটি ভেঙ্গে যেতে পারে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে অসহায় লোকজন চরম আতংকে থাকে। বর্তমানেও স্বাভাবিক ভাবে পারাপার অনেকটা ঝুঁকি হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মতে।
রিকসা চালক আবু তাহের জানান, কাঠের সাঁকোটি ব্রীজ আকারে নির্মাণ না হওয়ার চলাচলে অনেকটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শিয়াপাড়ার কয়েকজন দিনমজুর জানান, আমরা দীর্ঘ পনের বছর ধরে এ ঝুকিঁপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলা ফেরা করে যাচ্ছে। বিগত দুই নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ও বর্তমান জনপ্রতিনিধির শাসনামলে ও এ কাঠের সাঁকোটি ব্রীজে রুপান্তরিত হচ্ছেনা। কবে হবে সে আশায় বুক বেধে বসে আছে এলাকার মানুষজন।
পালপাড়ার সুপন জানান, দৈনিক শত শত মানুষ চলাচল করছে এ ভাঙ্গা সাঁকো পার হয়ে। সাঁকোটি দ্রুত ব্রীজ নির্মান এখন সময়ের গণদাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও রোগীরা যাতায়াতে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর একান্ত জরুরী বলে মনে করেন এলাকাবাসী। তবে স্থানীয়দের দাবী, অতি সত্ত্বর ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি টেকসই ব্রীজ নির্মান করে জন ও যান চলাচলে সূর্বন সুযোগ সৃষ্টি করা হোক।
You must be logged in to post a comment.