দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার দুদকে আইনজীবির মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি না আসার কথা জানান।
চিঠিতে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী লেখেন, যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিবেচ্য বিষয় আছে এবং এরইমধ্যে রিট আবেদনের মাধ্যমে সুরাহার জন্য তোলা হয়েছে, তাই আদালতে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।
এ ব্যাপারে দুদকের জনসংযোগ প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আজকে দুদকে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি না এসে হাইকোর্টে রিটের বিষয়টি উল্লেখ করে তলবে হাজির হতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, বিএনপি নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ মানি লন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গত ১৬ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা কাজী শফিকুল ইসলাম প্রথমে ২৮ আগস্ট হাজির হতে তলবি নোটিশ দেন।
কিন্তু আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী হাজির না হয়ে ঈদের ছুটি ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে না পারায় এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করে দুদকে চিঠি পাঠান তিনি।
পরে দুদক ২৮ আগস্ট চিঠিতে তাকে আজ ১০ সেপ্টেম্বর ফের তলব করে।
এদিকে, ৩ সেপ্টম্বর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দুদকের দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এ রিট করেন।
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.