সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / দেখে নিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের আদ্যোপান্ত

দেখে নিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের আদ্যোপান্ত

মন্ত্রীসভার নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন কাজী কেরামত আলী, মোস্তাফা জব্বার, এ কে এম শাহজাহান কামাল ও নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

মন্ত্রীসভার নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার ও কাজী কেরামত আলী।

২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন এই সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাধীন উলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তার পিতা উলা গ্রামের বিখ্যাত চন্দ বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দ ও মাতা স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দ।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল বের হবার পূর্বেই তিনি ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

পরে ১৯৭৩ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ও ২০০৫ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করেই ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৮৪ সালে তিনি ডুমুরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৫ ও ২০০৩ সালে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এখনও এ পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে একাধারে ছয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০০ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসন থেকে সপ্তম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে একই আসন থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি থানা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ডুমুরিয়া উপজেলায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন।

মন্ত্রী সরকারি সফরে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, শ্রীলংকা, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।ব্যক্তিগত জীবনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিবাহিত এবং তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

এ কে এম শাহজাহান কামাল

মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল

মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি। তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

এ কে এম শাহজাহান কামাল ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার আটিয়াতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. ফরিদ আহমেদ এবং মাতা মাসুমা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম ফেরদৌসি কামাল। তিনি এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক।

মন্ত্রী শাহজাহান কামাল ১৯৬৩ সালে লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, চৌমুহনী মদন মোহন কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

এ কে এম শাহজাহান কামাল একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

এ কে এম শাহজাহান কামাল ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে তিনি নবগঠিত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

পেশাগত জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী। ২০০৯ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত। তিনি ক্যান্সার রোগী, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও গরিব মানুষকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় দক্ষ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, ভারত ও জার্মানি ভ্রমণ করেছেন।

মোস্তাফা জব্বার

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেছেন মোস্তাফা জব্বার। মোস্তাফা জব্বারের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়িতে। পৈত্রিক সম্পত্তি পাওয়ায় বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসার পাশাপাশি একজন পুরোদস্তর কৃষক ছিলেন। মা রাবেয়া খাতুন গৃহিনী।

মোস্তাফা জব্বারের বাবা দুটি বিবাহ করেছিলেন এবং তিনি দ্বিতীয় পরিবারের সন্তান। বাবার প্রথম সংসারে এক বোন ছিল আর দ্বিতীয় সংসারে তিন ভাই ও দুই বোন। নিজের পরিবারে বড় মোস্তাফা জব্বার। মেঝ ভাই কিবরিয়া জব্বার নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী থানা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সেঝ ভাই এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ও আনন্দ প্রিন্টার্সের মালিক রাব্বানী জব্বার। বোন নিলুফার বেগম গৃহিনী। তার স্বামী নেত্রকোনা জেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আরেক বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

দাম্পত্য জীবনে দুটি বিয়ে করেছেন মোস্তাফা জব্বার। ১৯৭৪ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী রোকসানা সুলতানাকে বিয়ে করেন তিনি। রোকসানা সুলতানা বেসরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পরিচালক। এই সংসারে তাদের দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বড় মেয়ে সাবরিনা শারমিন পেশায় চিকিৎসক এবং ছোট মেয়ে সুনন্দা শারমিন তন্বী একজন স্থাপত্যশিল্পী। এই মেয়ের নামেই জনপ্রিয় বাংলা ফন্ট সুতন্বী এমজি নির্মাণ করেন মোস্তাফা জব্বার।

১৯৮৯ সালে নারী মুক্তিযোদ্ধা আমেনা সুলতানা বকুলের সঙ্গে দ্বিতীয় সংসার জীবন শুরু করেন মোস্তাফা জব্বার। এই পরিবারের একমাত্র সন্তান বিজয় জব্বার। যার নামে সব সফটওয়্যার তৈরি। বিজয় মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্সে গ্র্যাজুয়েশন করছেন।

মোস্তাফা জব্বারের প্রথম আয় ছিল ১৯৬৯ সালে রেডিওতে একটি যুব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে সাপ্তাহিক গণকণ্ঠ পত্রিকায় সাংবাদিক পেশাদার কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তখন বেতন ছিল মাত্র ১০০ টাকা। এরপর সাপ্তাহিক থেকে পত্রিকাটি দৈনিক হয়। ৭৫’র জানুয়ারি পর্যন্ত পত্রিকাটিতে তিনি কর্মরত ছিলেন। গণকণ্ঠ বন্ধ হয়ে যাবার পর তিনি ট্রাভেল এজেন্সি, প্রকাশনাসহ আরও কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায় যুক্ত হন।

১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তার লেখা বাংলাদেশের প্রথম গণনাট্য এক নদী রক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে (বর্তমান টিএসসি) মঞ্চস্থ হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর ১৯৮৭ সালের কম্পিউটার ব্যবসায় যোগ দেন মোস্তাফা জব্বার। তখন মেকিন্টোস কম্পিউটারই ছিল একমাত্র ভরসা। একই বছরের মে মাসে দেশে প্রথম কম্পিউটারে কম্পোজ করা বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই চিন্তা করেন কীভাবে বাংলা ভাষাকে কম্পিউটারে আরও সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় করতে উদ্যোগ নেন তিনি। সে ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেকিন্টোস কম্পিউটারের জন্য প্রকাশ হয় বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার। পরে ১৯৯৩ সালের ২৬ মার্চ প্রকাশ করেন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সংস্করণ। এ ছাড়াও ডিজিটাল বাংলা নিউজ সার্ভিস ‘আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ’ বা আবাসের চেয়ারম্যান ও সম্পাদক তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে নির্বাচন করে সূর্যসেন হলের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর একই বছর তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ইতোপূর্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কোষাধ্যক্ষ ও সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮-০৯ সময়কালে তিনি দ্বিতীয় এবং ২০১০-১১ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তী মেয়াদেও তিনি এই সমিতির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কাউন্সিল সদস্য।

কম্পিউটার বিষয়ে অনেকগুলো বই বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন মোস্তাফা জব্বার। নবম ও দশম শ্রেণীর কম্পিউটার বিষয়ক পাঠ্যপুস্তক মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা বইটির লেখক তিনি। তার লেখা ‘কম্পিউটার ও ইনফরমেশন টেকনোলজি’ এবং ‘একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম’ স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্য বই। উচ্চ মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা, দুই খণ্ডের প্রাথমিক কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও তার লেখা কম্পিউটারে প্রকাশনা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও তার সম্পাদিত কম্পিউটার অভিধান ব্যাপকভাবে প্রচলিত কম্পিউটার বিষয়ক বই।

তার প্রথম উপন্যাস নক্ষত্রের অঙ্গার ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সুবর্ণে শেকড় নামে আরেকটি উপন্যাস তিনি লিখছেন। এ ছাড়াও কম্পিউটার কথকতা, ডিজিটাল বাংলা, একুশ শতকের বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, একাত্তর ও আমার যুদ্ধ তার লেখা বইগুলোর অন্যতম। তথপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজয় বাংলা কীবোর্ড ও সফটওয়্যার তৈরির করার জন্য তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেরা সফটওয়্যারের পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গের কমপাস কম্পিউটার মেলার সেরা কমদামী সফটওয়্যারের পুরস্কার, দৈনিক উত্তরবাংলা পুরস্কার, পিআইবির সোহেল সামাদ পুরস্কার, সিটিআইটি আজীবন সম্মাননা ও আইটি এ্যাওয়ার্ড, বেসিস আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ও বেস্টওয়ে ভাষা-সংস্কৃতি পুরস্কারসহ ১৬টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

কাজী কেরামত আলী

প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। তিনি ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার সজ্জনকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। কাজী কেরামত আলীর পিতা কাজী হেদায়েত হোসেন এবং মাতা মনাক্কা বেগম। তার স্ত্রীর নাম রেবেকা সুলতানা।

কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী ইয়াসিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম সম্মানসহ এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ১৯৯০ থেকে রাজবাড়ী জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৯২ সালে রাজবাড়ী-১ থেকে ৫ম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী কেরামত আলী। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদে এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ ও ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৫ম জাতীয় সংসদে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ৭ম জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, নবম জাতীয় সংসদে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কিমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং জাতীয় সংসদে লাইব্রেরি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতিমন্ত্রী ১৯৯৬ থেকে রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, জেলা রোটারি ক্লাবের সদস্য এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জীবন সদস্য।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষ কাজী কেরামত আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে কুয়েত সফর এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমেরিকা, কানাডা, চীন, জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেছেন। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।

 

সূত্র:আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন-priyo.com;ডেস্ক।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/