সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / নেপালগামী সামরিক রাস্তা চালু চীনের : অস্বস্তিতে ভারত

নেপালগামী সামরিক রাস্তা চালু চীনের : অস্বস্তিতে ভারত

নেপালের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি সামরিক সম্পর্কও জোরদার করছে চীন। ভারতীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী চীন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ বিনিয়োগ করা শুরু করেছে নেপালে। তিব্বত থেকে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত একটি সড়ক চালু করেছে চীন। এই রাস্তা অসামরিক ও সামরিক উভয় প্রয়োজনেই ব্যবহার করা যাবে। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে বেইজিং দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রভাগে পৌঁছাতে পারবে।

এতে করে ভারতের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় অনেক বিশেষজ্ঞ একে ভারতকে ঘিরে ফেলার একটি চীনা পরিকল্পনা বলেও অভিহিত করেছেন।

তিব্বতের জিগেজে শহর ও থেকে ৪০.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির সঙ্গে নেপাল সীমান্তগামী জাতীয় সড়কের সংযোগ রয়েছে। এই জি৩১৮ মহাসড়ক নেপাল বিমানবন্দর এবং তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর মধ্যে ব্যবধান দেড় ঘণ্টা কমিয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই মহাসড়ক অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক দিয়েই দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়ে যাবে চীনকে। ভবিষ্যতে এটি নেপালের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী রেললাইন প্রতিষ্ঠারও পথ দেখাবে। ভৌগোলিকভাবে এই সড়কটির মাধ্যমে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গেও সড়ক ও রেলওয়ে সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। চীনা কর্তারা বলছেন, নয়াদিল্লি যদি রাজি থাকে, তবে এই রাস্তাটি ভারত ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক করিডোর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

নতুন এই সড়ক জিগাজে-লাসা রেলওয়ের সমান্তরাল হবে। এটি শহরের রিংরোডগুলির মধ্যেও সংযোগ সাধন করবে। জি৩১৮ মহাসড়কটি জাংমুকে তিব্বতের রাজধানী লাসার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

তিব্বত ও নেপালের মধ্যে রোড কানেকটিভিটি জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। নেপালের চীনপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ক্ষমতায় থাকার সময় নেপালের সীমান্ত পর্যন্ত সংযোগকারী রেলওয়ে নির্মাণের জন্য গত বছর ট্রানজিট ট্রেড চুক্তি সই করেছিলেন। এর ফলে চীনের সাথে নেপালের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার হয় এবং ভারতের উপর নির্ভরতা কমে যায়।

সম্প্রতি নেপালে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইউ হু হং বলেছেন, নেপালের উন্নয়নে প্রধান অংশীদার হতে চায় চীন। আসলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশ পথ হিসেবে নেপালের প্রতি নজর পড়েছে চীনের। নেপাল ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পর থেকেই দেশটিতে চীনের সাহায্যের পরিমাণ বেড়ে যায়।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত পাঁচ বছর ধরে কাঠমাণ্ডুর সবচেয়ে বড় বিদেশি সাহায্যদাতা হলো বেইজিং। গত মার্চে নেপাল বিনিয়োগ সম্মেলনে ১৬টি চীনা প্রতিষ্ঠান নেপাল সরকারের সঙ্গে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’সই করে। তাছাড়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নেপালের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা নেপালে একটি হাসপাতাল ও কাঠমাণ্ডুতে মেট্রোপথ নির্মাণে বিনিয়োগ করার কথা জানায়। পর্যটকদের প্রথম গন্তব্য কাঠমাণ্ডুর কেন্দ্রস্থল থামেল-এ ইতিমধ্যে চায়না টাউন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সম্প্রতি নেপালের সবচেয়ে বড় দুই কমিউনিস্ট পার্টিকে এক করার পিছনে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে, চীনের স্বার্থের প্রতি সহানুভুতিশীল রাজনৈতিক দলগুলিকে শক্তিশালী করতে বেইজিংয়ের আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ চীনের কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা নিয়ে নেপাল যাতে ঋণের ফাঁদে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

সূত্র:globetodaybd.com;ডেস্ক।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/