ইমার্জিং এশিয়া কাপের শুরুতেই হোঁচট। উদ্বোধনী ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গী হয় ৯৭ রানের বড় পরাজয়। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনূর্ধ-২৩ ক্রিকেট দল। টিকে থাকার লড়াইয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অলরাউন্ড নৈপুন্যে হংকংকে ২৮ রানে হারায় নুরুল হাসান সোহানের দল।
হংকংয়ের বিপক্ষে সেই জয়েই বাংলাদেশ বাঁচিয়ে রাখে সেমিফাইনালের স্বপ্ন। শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ভিন্ন কোনো বিকল্প ছিল না সোহান-মোসাদ্দেকদের সামনে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও বজায় থাকল বাংলাদেশের দাপট।
সেই দাপটের সামনে যেন পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক পাকিস্তান। রবিবার পাকিস্তানকে ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১৯ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৬.৫ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে স্কোরকার্ডে ২২৫ রান যোগ করতে সক্ষম হয় তারা।
৩১০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪ রানেই ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। আলি ইমরানকে ব্যক্তিগত ৩ রানে জাকির হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন নাঈম হাসান। সাউদ সাকিলকেও থিতু হতে দেনননি নাঈম। মাত্র ৬ রানে তাকেও সাজঘরে পাঠান ডানহাতি এই স্পিনার।
এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন জিশান মালিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৮৮ রান। জিসানকে ৪৭ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। এর দুই ওভার পরই বিদায় নেন অধিনায়ক রিজওয়ান। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তাকে সরাসরি বোল্ড করেন মোসাদ্দেক।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান খুশদিল শাহ। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ফলে ৫৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেও দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফিরতি ক্যাচে তাকে সাজঘরে ফেরান শফিউল। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রান করেন খুশদিল।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাঈম। ১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৩৬ রানে এই তিন উইকেট দখল করেন তিনি। এ ছাড়া শফিউল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন দুটি করে এবং শরিফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জাকির হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ইয়াসির আলির হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০০ পেরোনো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জাকির ৬৯ ও ইয়াসির ৫৬ রানে ফিরলেও ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৭৪ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
হাফ সেঞ্চুরির এই তালিকায় যোগ হতে পারত নাজমুল হোসেন শান্তর নামও। কিন্তু মাত্র এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ৫৪ বল মোকাবেলা করে ৪৯ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া মিজানুর রহমান ২৫, আফিফ হোসেন ৬ ও নুরুল হাসান সোহান ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সূত্র:মুশাহিদ-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.