পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবী

ফাইল ফটো

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর একাধিক পয়েন্টে পাহাড় কাটা থেমে নেই। এতে করে দেখার কেউ না থাকায় কোনভাবেই দমানো যাচ্ছে না নির্বিচারে পাহাড় নিধনযজ্ঞ। প্রতিনিয়ত বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে। এমনকি জেলা কিংবা বিভাগে পাহাড় ধসে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরী হচ্ছে না। অপরদিকে নির্বিচারে পাহাড় কাটা রোধে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

আবার পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।

তবে স্থানীয়রা আসন্ন বর্ষায় পাহাড় ধসে মাটি চাপায় প্রাণহানির মত দুর্ঘটনার আশংকাও করছেন। সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকায় সমতল ভূমির আকাশচুম্বি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশের পরিবেশগত উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া এবং নাফ-নদী দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ নানা কারণে পাহাড়ি ভূমিতে মানুষের বসবাসের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ঘর তৈরীর লক্ষ্যে এসব কারণে বেড়েছে পাহাড় কাটার প্রতিযোগীতাও। বিগত দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড় কাটার এই অশুভ প্রতিযোগিতা চলে আসলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিশাল এলাকার পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে।

পাহাড়ি ভূমির বিশাল অংশ প্রতিক্ষণে প্রতিমুহুর্তে অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপন হচ্ছে নানা বসতি। এছাড়াও বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থানে হরদম পাহাড় কাটা থেমে নেই। তদন্ত পূর্বক এসবের বিরুদ্ধে বিহীন ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সচেতন মহলের মতে, এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পাহাড় একের পর এক সাবাড় হয়ে যাবে। যাতে করে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

উল্লেখ্য যে, ৮ মার্চ দুপুর বেলায় কালিরছড়া শিয়াপাড়ার (রমিজের কাইন্দ্যা) নামক এলাকায় পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে নুরুচ্ছফা নামের এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।