সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / পাহাড় ধসের আতংক প্রায়শ : ঈদগাঁওর পাহাড়ী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

পাহাড় ধসের আতংক প্রায়শ : ঈদগাঁওর পাহাড়ী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাহাড়ী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে লোকজন। দেখার কেউ না থাকায় পাহাড়ের উপরি অংশে বসবাসকারীরা চরম আতংকে রয়েছে।

জানা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওর ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় লোকজন নানা কষ্টের বিনিময়ে বসবাস করে যাচ্ছে। প্রচন্ড বাতাস আর বৃষ্টি হলে পাহাড়ী এলাকায় বসবাসকারী লোকজন পাহাড় ধসের আতংকে থাকে প্রতিনিয়ত।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অনেকে বর্তমানে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করেছে। তারা পাহাড় কেটে বসতবাড়ী ও করছে। এছাড়াও প্রায়’শ পাহাড় কাটা অব্যহত থাকায় পাহাড়ের নিচে থাকা জমি গুলো বালি ও মাটিতে ভরে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী লোকজনের আরো ব্যাপক অসুবিধা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে অব্যাহত এ প্রবল বৃষ্টিতে কাটা পাহাড়ে ফাটল সহ পাহাড় ভেঙ্গে নিচে গড়িয়ে আসার আশংকা ও প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল। এ ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের লোকজনকে যদি প্রবল বৃষ্টিপাতে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে না যায় তা হলে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রামের মত পাহাড় ধসের মত পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। পাহাড় ধসের আতংকে থাকা এলাকা হচ্ছে ঈদগাঁওর কালিরছড়া মুরাপাড়া, ভুতিয়াপাড়া, মেহেরঘোনা, মাছুয়াখালী, ফকিরাবাজার সহ ইসলামপুরের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায়।

এদিকে পাহাড় কাটা অপরাধ হলেও অনেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে পাহাড়ের উপরে বসবাবসরত পরিবার গুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। চলতি এ বর্ষাকালে তদুপরী যে কোন মুহুর্তে যে পাহাড় ধসের মত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানান গ্রাম গঞ্জের সচেতন লোকজন।

স্থানীয় কালিরছড়া এলাকার এক মহিলার মতে, গেল প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর বাতাস হলে নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়। কিছুদিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তার বাড়ীর উপরে পাহাড় থেকে মাটি নিচে নেমে এসে বাড়ীর দেওয়ালের সাথে ধাক্কা লাগে বলে জানান। আবার পাহাড়ের উচুতে বসবাসকারী পরিবার ঐ সময় উপর থেকে নিচে নেমে এসে আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পাহাড় কর্তকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকার সুশীল সমাজ।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের এমইউপি কামাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি তার এলাকায় শতকরা ৯০ভাগ লোকজন পাহাড়ের উপর বসবাস করে চলছে বলে জানান। অন্যদিকে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের মতে, মেহেরঘোনা এলাকায় শতকরা ৮০ভাগ লোক পাহাড়ের উপরি অংশে বসবাস করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টি হলে প্রতিনিয়ত পাহাড় ধসের আতংকে থাকে তারা।

ঈদগাঁও মেহেরঘোনার রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা-ই-ইলাহী সাথে দেশ-বিদেশের এ প্রতিনিধি মুঠোফোনে কথা হলে তিনি, তার অফিসের আওতাধীন পাহাড়ের উপর ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারী লোকজনদেরকে অন্যত্রে সরিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/workshop-Kamal-15-5-2024.jpeg

রামুতে সিডিডি প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কামাল শিশির; রামু : ১৪ মে, বুধবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদ হিমছড়ি হল ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/