সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / পায়ুপথে ইয়াবা পাচারকালে মাদ্রাসার শিক্ষক আটক

পায়ুপথে ইয়াবা পাচারকালে মাদ্রাসার শিক্ষক আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি; টেকনাফ :

পায়ুপথে ইয়াবা পাচারকালে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে র্যাব। তিনি শাহপরীরদ্বীপ হতে পায়ুপথে নিয়মিত ইয়াবা নিয়ে যেতেন ঢাকায়।

তার নাম মো. আবু মোসলেম উদ্দিন (৪৫) ওরফে ইদ্রিস। তিনি কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন বলে জানান। তিনি প্রথমে সিগারেট কোম্পানীর সেল্সম্যান ছিলেন। কক্সবাজারের মহেশখালী বাসিন্দা বিয়ে করে শাহপরীরদ্বীপে স্থায়ী হন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পায়ুপথে নিয়মিত ইয়াবা পাচার করতেন ইদ্রিস। র্যযাব-১১ এর মাদক বিরোধী অভিযানে এবার সাবেক এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল থেকে তাকে আটক করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ জানান, গত রমজান মাসে মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়া এক মাদক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে আমরা ইদ্রিস মাস্টারের ব্যাপারে তথ্য পাই। সেখানে আমরা জানতে পারি ইদ্রিস মাস্টার কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি সেখান থেকে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতরে করে ইয়াবা নিয়ে আসেন। তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আকাশ পথে যাতায়াত করেন। শুক্রবার আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ইদ্রিস মাস্টার প্লেনে কক্সবাজার থেকে ঢাকা আসছে। পরে র‌্যাব-১১ সিনি. এএসপি জসিম উদ্দিন (পিপিএম) এর নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করতে প্রথমে ঢাকা এয়ারপোর্টে অবস্থান নেয়।

ইদ্রিস এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে যাচ্ছে এই খবর জানতে পেরে র‌্যাবও তাকে নজরদারি করতে থাকে। পরে তাকে নরায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার দেহ তল্লাশী করে ইয়াবার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন তিনি পায়ুপথে ইয়াবা বহন করেন।

রাতেই স্থানীয় এক ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে তার পায়ুপথ থেকে তিনটি ডিম্বাকৃতি ইয়াবার প্যাকেট বের করা হয়। সেখান থেকে ২ হাজার ৪০০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইদ্রিস আরো জানায় তিনি বর্তমানে শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি ইয়াবা ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত। এ পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ বার এ পদ্ধতিতে ইয়াবা বহন করে নিয়ে এসেছেন। প্রতি পিছ ইয়াবার জন্য তাকে ১৩ টাকা করে দেওয়া হতো। সেই অনুপাতে এবারের চালানে তার আয় ৩১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতিমাসে সে ৪/৫ বার ইয়াবা নিয়ে যাতায়াত করে থাকে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; বান্দরবান :ভূমি বিরোধের জের ধরে লামায় মোঃ ইব্রাহিম (৫৫) নামে কৃষকের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/