প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন আমেজ। সকালে মিষ্টি রোদ আর রাতে হালকা ঠান্ডা বাতাস। টিনের চালে কিংবা কলাপাতায় কুয়াশার সাথে শিশিরের টুপটাপ শব্দ নিয়ে যায় অন্য এক ভুবনে। এরই মধ্যে একটু দেরিতে হলেও কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর এলাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট হাটবাজারেও আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা শাক-সবজি। মূলা, মূলাশাক, শসা, মরিচ, বেগুন, ভেন্ডি, সিম, বরবটি, কঁচু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, আলু, তিত করলা ও গাজরসহ শীতকালীন নানা সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা খুশিতে উত্ফুল্ল হয়ে পড়েছে। যার কারণে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে এসব শীতকালীন সবজি। তবে বিক্রেতাদের মতে, শীতের সবজি আসার সময় এখনো পুরোপুর হয়নি।
শীত মৌসুম আসতে আরো বেশ কিছুদিন বাকী বললেই চলে। বিশেষ করে, ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁওসহ বৃহত্তর ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট বাজারেও এসব শীতকালীন সবজি দেখা যায়। সবজি চাষীরা চাষ শুরু করেছেন মাত্র। বৃহত্তর এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ তথা ঈদগড়, বাইশারী, গজালিয়া, গর্জনিয়া, ভোমরিয়াঘোনা, রামু, চকরিয়াসহ বিভিন্ন কৃষি এলাকার কৃষকরা অতি কষ্টের বিনিময়ে এসব শাক সবজি উত্পাদন করে থাকে। তাই তারা মুনাফা লাভের আশায় ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে তাদের কাঙ্খিত ফলানো শাক সবজি ব্যবসায়ীদের মাঝে কমদামে বিক্রি করে। সে সুবাদে ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কাছ থেকে কম দাম নিচ্ছে।
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটে ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ইতোমধ্যে হরেক রকমের শীতের সবজি চোখে পড়ে। নতুন আসা সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এসব সবজি প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা করে কমেছে। বাজার করতে আসা বেশ কয়েকজনের মতে, তারা নিম্নদামে শীতকালীন শাক সবজি কিনতে পেরে মহাখুশি হয়েছে। তবে এসব শীতকালীন সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতি আহবানও জানিয়েছেন ক্রেতারা। আবার বাজার ঘুরে কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকায়, বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, সিম ৭০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, কঁচু ৭০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, শসা ১৫ টাকা, তিত করলা ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
তবে শাকসবজির দাম নিম্নমুখী প্রসঙ্গে বাজারের সামস স্টোরের সত্ত্বাধিকারী শামসুল আলম সওদাগরের সাথে আজকের কক্সবাজারের এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি এবারের মত শীতকালীন শাক সবজির দাম আর কখনো নিম্নমুখী হয়নি। তাই তিনিও ক্রেতাদেরকে কমদামে সবজি বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্ট বলে জানান।
অপরদিকে সচেতন মহলের মতে, চলতি শীতকালীন শাক সবজির দাম বৃদ্ধি না করে নিম্নমুখী করে রাখলে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের লোকজন সবজি কিনতে পারবে অনায়াসে।
You must be logged in to post a comment.