নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :
হাতের পরির্বতে পায়ে লিখে প্রতিকুল অবস্থায় জীবন জয়ের স্বপ্নে প্রতিবন্ধী রাফিয়া। সে ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনার ব্যবসায়ী শাহ আলম ও গৃহিনী ছফুরা আক্তারের কন্যা।
ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। যার জন্ম হয়েছিল ডান হাত ছাড়া এবং বাম হাতের আঙ্গুল ছাড়া ২০০৭ সালে। সে ১১ বছরের অদম্য শিশু। তাকে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জীবন জয়ের স্বপ্নে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। যার জীবন অন্য দশজন প্রতিবন্ধীর মত বাবা-মায়ের ঘাড়ে বসে থাকা ছাড়া অন্য কোন চলাফেরার উপায় ছিল না। আজ সে রাফিয়া স্বপ্ন দেখছে অন্যের বোঝা না হয়ে লেখাপড়া শেষ করে মানুষের মত মানুষ হয়ে এবং নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে। সেই স্বপ্নে বিভোর অদম্য শিক্ষার্থী রাফিয়া আলম জেবা পায়ে লিখে সুস্থ, সবল অন্যান্য শিশুদের মত সফল ভাবে পিএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
রুপন দে নামের এক শিক্ষক জানান, রাফিয়া পায়ে লিখলেও তার ভিতর কোন জড়তা ছিলনা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে একই রুমে বসে সে সবকটি পরীক্ষা দিয়েছে। তার লেখা সুন্দর এবং সুস্পষ্ট। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাব্বিরের মতে, রাফিয়া ভর্তির পর থেকে পায়ে লিখে তার লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক শ্রেণীতে সে প্রতিটি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। প্রতি কুলতা তার অদম্য পথচলাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সাহসী অদম্য রাফিয়ার জন্যে সকলে মনভরে দোয়া করি। সাহস যোগায় তার জীবন জয়ের স্বপ্নের প্রতি।
You must be logged in to post a comment.