কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বন্ধে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ভাবছে দেশটির সরকার। রবিবার ফ্রেঞ্চ সরকারের মুখপাত্র বেনজামিন গ্রিভেআউস্ক এ কথা জানান। খবর এনডিটিভির।
শনিবারও হাতুড়ি, কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নামে মুখোশধারী ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা। তারা কয়েক ডজন গাড়ি ও বিভিন্ন ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। একদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৯জনকে।
গ্রিভেআউস্ক ইউরোপ ওয়ান রেডিওকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে।’
একটানা দু’সপ্তাহ সহিংসতা আন্দোলনের মুখে এরই মধ্যে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে ফান্সের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ। মূলত জ্বালানী তেল ও জীবন-যাপনের ব্যয় বাড়ানোর প্রতিবাদে এ আন্দোলন শুরু হয়।
এ বিষয়ে রবিবারই ফ্রেঞ্চ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। কিভাবে সহিংসতা থামানো যায় এবং আলোচনা শুরু করা যায় সে ব্যাপারে তিনি আলোচনা করবেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক এ আন্দোলনের কোন নের্তৃত্ব নেই, আনুষ্ঠানিক কোন কাঠামোও নেই। তাই আলোচনা শুরু করতে বেগ পেতে হতে পারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোকে।
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.