কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের এক বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলসহ ইয়াসিন আরাফাত নামের এক যুবককে হাত-পা বাঁধা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানার এস.আই মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত শনিবার রাত ৯টার দিকে ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকায় এ অভিযান চালায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এতে আসামী করা হয়েছে – চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মো: ওসমান, নাছির উদ্দিন ও কফিল উদ্দিন এবং একই এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৫/৬জনকে। অপহরণের পর তার কাছ থেকে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মাইজকাকারা গ্রামের আব্বাস আহমদের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত প্রকাশ আপেল মিয়া ও মোহাম্মদ জুয়েল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি হতে বের হয়ে তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল নিয়ে কাকারাস্থ হাতিলদারপাড়ায় যায়। এসময় পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা একদল দূর্বৃত্ত তাদের মোটর সাইকেল গতিরোধ করে ইয়াসিন আরাফাত ও মোহাম্মদ জুয়েলকে মারধর করে। মারধরের পর তার ভাই জুয়েলকে ছেড়ে দিয়ে গাড়ীসহ আরাফাতকে অপহরণ করে চিরিংগা হালকাকারাস্থ এক বাড়িতে জিম্মি করে রাখে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ২টি মোবাইল সেটও ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় অপহৃতাদের পিতা আব্বাস আহমদ বাদী হয়ে এদিন বিকালে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়েরের পর পুলিশ গোপনে সংবাদ পেয়ে পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডস্থ জনতা মার্কেট পাড়ার একটি বিল্ডিংয়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকে হাত-পা বাঁধা মুমুর্ষ অবস্থায় আরাফাতকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানার এসআই মাহবুবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাত্ক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্র আরাফাত ও ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
You must be logged in to post a comment.