সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / বন খেকো ও মাদক সম্রাট তোফায়েল রাজত্বে অসহায় সাধারণ মানুষ

বন খেকো ও মাদক সম্রাট তোফায়েল রাজত্বে অসহায় সাধারণ মানুষ

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

র‌্যাব-পুলিশের দফায় দফায় অভিযানে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ও লাগায়ো লামার আজিজনগর থেকে ইতোমধ্যে লাখ লাখ লিটার বাংলা মদ ও মদ তৈরীর উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। প্রতিবারই অভিযানের পর প্রশাসন উদ্ধারকৃত চোলাই মদ ও উপকরণ ধংস করে। কিন্তু প্রশাসনের এসব অভিযানের পরও ওই এলাকায় থেমে নেই মাদকের জমজমাট বাণিজ্য।

অভিযোগ উঠেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ধারাবাহিক অভিযানে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ ও মদ তৈরীর উপকরণ জব্দ করা হলেও প্রতিবারই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান মাদক ব্যবসায় জড়িত প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা।

স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ রয়েছে, হারবাং-আজিজনগর এলাকার অঘোষিত মাদক সম্রাট তোফায়েল আহমদ বারবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেও পরে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কায়দায় তিনি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি পূর্বেকার মতো অব্যাহত রাখছেন মাদক ব্যবসা। কয়েকমাস আগে হারবাং পুলিশ ফাড়িঁর আইসি মো.আলমগীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট তোফায়েল আহমদকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তোফায়েল আদালত থেকে জামিনে এসে ফের এলাকায় আগের মতো মাদক ব্যবসার হাল ধরে।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল আজিজনগর পুলিশ ফাড়িঁর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভর্তি ৪৬০ লিটার চোলাই মদ জব্দ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে লামা থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেন। মামলাটিতে ১নং আসামি করা হয় জেল ফেরত তোফায়েল আহমদকে। বর্তমানে ওই মামলা থেকে বাদ যেতে তোফায়েল নানাভাবে চেষ্ঠা চালাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন উঠেছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং কলাতলী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আহমদ কবিরের ছেলে তোফায়েল আহমদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পাশাপাশি তিনি বনবিভাগের বিপুল পরিমাণ জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে প্লট তৈরী করে তা বিক্রি করছেন। এসব কারনে বনবিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে থানা ও আদালতে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ৩৬টি বন মামলা, ৯টি মাদক মামলা, তিনটি সাধারণ ডায়েরী, থানায় ১৩টির বেশি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী লোকজন।

মামলার মধ্যে রয়েছে আজিজনগর বনবিটের ১২টি বন মামলা, চুনতী রেঞ্জের ২৪টি বন মামলা, চকরিয়া, লামা, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ থানায় ৯টি মাদক আইনে মামলা। বেশির ভাগ মামলায় তোফায়েল আহমদ বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে রয়েছে। এছাড়াও তাঁর ভাই জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তত সাতটি বন মামলা। তাঁর দাপটের কারনে বনকর্মীরাও এলাকায় অনেকটা অসহায় বলে দাবি করেন বনবিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা।

 স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, র‌্যাব-পুলিশের একাধিক টিম তোফায়েলকে গ্রেফতারে ইতোপুর্বে তার কলাতলীস্থ বাড়িতে অনেকবার অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তাকে সেখান থেকে কোনদিন গ্রেফতার করতে পারেনি। মুলত তাঁর আস্তানা অতিক্রমকালে নিজস্ব সোর্স ওৎপেতে থাকায় প্রশাসন অভিযান চালালেও ব্যর্থ হন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/