বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীতে সন্ধানপ্রাপ্ত পাথরখনিকে পাথর মহাল ঘোষণা না করার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ।
কক্সবাজার থেকে খুরুশকুল পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের সময় সম্প্রতি বিশালাকার পাথর খনির সন্ধান পাওয়া যায়। আর কিছু ব্যক্তি তা রাতের আঁধারে পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। এমন খবরে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সন্ধানপ্রাপ্ত পাথরখনির জায়গাটি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়।
এখন একটি স্বার্থান্বেষীমহল সন্ধানপ্রাপ্ত পাথর খনিকে পাথর মহাল ঘোষণা করার জন্য জোর লবিং চালাচ্ছে।
পাথর মহাল ঘোষণা না করার দাবি জানিয়ে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু ও সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদা বিবৃতিতে জানান, বাঁকখালী নদীতে যে পাথর পাওয়া গেছে তা নদীর তলস্তরে মজুদকৃত পাথর। এসব পাথর উত্তোলন করা হলে উপরের মাটির স্থর ভেঙ্গে পড়বে। ফলে নদীর দুই পাশের যে বসতবাড়ি রয়েছে তা ধসে পড়বে। মাটির ভিত হিসেবে থাকা এসব পাথর তুলে ফেলা হলে ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ভূ-স্তর ধ্বসে পড়বে । এতে হুমকির মুখে পড়বে নদীর পাশ্ববর্তি এলাকাসহ কক্সবাজার শহর।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
You must be logged in to post a comment.