বাংলাদেশ-মিয়ানমার শূন্য লাইনের আশপাশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের পুঁতে রাখা আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা হাতে তৈরি বোমা-গ্রেনেড) ও মাইন অপসারণে দুই দেশ সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিসুর রহমান।
বিজিবি সদর দফতরের সাত দিনব্যাপী বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বৈঠক শেষে ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানান তিনি।
কারা আইইডি ও মাইন পুঁতে রেখেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসব পুঁতে রাখতে পারে। বাংলাদেশ এখনো সেসব জায়গায় যেতে পারছে না। তবে যাওয়ার চেষ্টা করছে। দুই দেশের সরকার তাদের ভূমি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেবে না।
মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুই দেশের সরকার তাদের ভূমি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেবে না। সীমান্তের কোনো বিশেষ এলাকায় এ ধরনের অপরাধীদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে ৪৯টি ইয়াবা তৈরির কারখানা থাকার তথ্য মিয়ানমারকে দিয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাসহ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত এলাকা এখন স্থিতিশীল। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে দুই পক্ষেরই তথ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিয়ানমার জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা চাইলে এখন সেখানে ফিরে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ (মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স) মেয়োসেও উইন।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.