ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিতর্কিত ১৯ জন ছাত্রলীগ নেতার পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে কিন্তু তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। বিতর্কিতদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে বিতর্কিতদের নাম গোপন রাখার বিষয়ে পদবঞ্চিতদের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, এ ১৯ জন ছাত্রলীগ নেতার নামের তালিকা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, তারা দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বিতর্কিত ১৯ জনের নাম খুঁজে পেয়েছেন। নৈতিকভাবে তাদের নাম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। এদিকে পদবঞ্চিতরা দাবি করছেন- ১৯ জন কারা তা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে। গোপন রাখার বিষয়টিকে তারা ‘নাটক’ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, গত ২৫ মে, গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ১০৭ জন বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতার নামের তালিকা জমা দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণও দিয়েছেন বলে জানান।
পদবঞ্চিতদের দাবি, ১৯ জনের নামের তালিকা প্রকাশ না করার অর্থ হলো তাদের কাউকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে না। কমিটি বর্ধিত করে বঞ্চিত ১৯ জনকে পদ দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখপাত্র ও গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিতর্কিত ১৯ জনের নাম সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। তারা নাম গোপন রাখার যে নাটক করছেন, এটার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ১৯ জনের নাম পেয়েছি। যাদের পদগুলো আজকে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতের মধ্যেই শূন্য ঘোষণা করা হবে। আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবো। তবে অভিযুক্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তাদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ নৈতিকভাবে আমরা তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারি না। এই ১৯ জনের বিরুদ্ধে কেউ আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ দেয়নি। সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা নিজেরা তদন্ত করেছি এবং বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিয়েছি। মিডিয়াতে নাম প্রকাশ করলে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। যে ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে সেখানে অন্যদের স্থান দেওয়া হবে।’
প্রথমে বিতর্কিত ১৭ জনের মধ্যে যে ১৫ জনের নাম প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে কতজন ১৯ জনের তালিকাতে রয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ১৫ জনের মধ্যে আটজন তাদের নিজেদের পক্ষে অভিযোগ খণ্ডানোর জন্য তথ্যপ্রমাণ দিয়েছেন। বাকিরা ১৯ জনের তালিকায় রয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার পর সংগঠনটির একটি অংশ বিতর্কিতদের পদ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন। পরে গত ১৫ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে ওই দিন মধ্যরাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিতদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টা সময় নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তখন তারা বিতর্কিত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের নাম প্রকাশ করেছিলেন।
সূত্র:deshebideshe.com-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.