শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে রানের খাতা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১০হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল। মাইলফলক স্পর্শের এই ম্যাচে সেখানেই থেমে থাকেননি দেশসেরা এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিও। ব্যক্তিগত ১২৭ বলে ১২ চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূরন করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এই সেঞ্চুরি নিয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৭ সেঞ্চুরির মালিক হলেন তামিম। টেস্ট ও ওয়ানডেতে আটটি করে এবং টি-টোয়েন্টিতে একটি সেঞ্চুরি করেছেন ২৯ বছর বয়সী তামিম।
তামিমের সেঞ্চুরিতে ৪২.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ওভারে তিন উইকেটে ২৩১ রান। তামিম ১০০ ও সাকিব ৪৭ রানে অপরাজিত আছেন।
শনিবার ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইনিংসের তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজারী ক্লাবে জায়গা করে নেন তামিম। এই রান তুলতে বাঁ-হাতি এই ওপেনার খেলেছেন মোট ২৬৭* ম্যাচ (৪৯ টেস্ট, ১৬৩* ওয়ানডে এবং ৫৫ টি-টোয়েন্টি)।
লঙ্কানদের বিপক্ষে দেখে শুনে শুরু করা তামিম বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তার সঙ্গী সৌম্য সরকার। এরপর সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে দলের রানের চাকা বাড়াতে থাকেন তামিম। বাঁ-হাতি এই ওপেনারের আগেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাব্বির। তবে হাফ সেঞ্চুরির পরপরই বিদায় নেনে সাব্বির। এরপরের ওভারে ফিরে যান মুশফিকুর রহিমও।
সেখান থেকে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলে হাল ধরেন তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এই রানসংগ্রাহক। ব্যক্তিগত ৭৬ বলে ছয় চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করলে পরের ৫০ রান করতে মাত্র ৫২ বল খেলেছেন তামিম। ১২ চারে সাজানো তামিম ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১২৭ বলে। তার সঙ্গী সাকিবও হাফসেঞ্চুরির দৌড়গোড়ায়। রানের জুটিগড়ার পথে সাকিব অপরাজিত আছেন ৪৭ রানে।
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত ৪৯ টেস্ট ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ব্যাট করে ৩৯.৫৩ গড়ে রান করেছেন ৩৬৭৭। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ২০৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা আটটি এবং হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ২২টি।
এই ম্যাচের আগে ১৬২ ওয়ানডেতে তামিমের সংগ্রহ ৩২.৪০ গড়ে ৫১২০ রান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৪ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা আজকেরটি সহ আটটি এবং হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৩৪টি। এছাড়া ৫৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৪.০৪ গড়ে এক সেঞ্চুরি ও চার হাফ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১২০২ রান। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩ রান।
সূত্র:সৌরভ মাহমুদ/ শান্ত মাহমুদ,priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.