মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রীজের ধস ঠেকিয়ে রাখতে দেয়া বালুর বস্তা এখন পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গত দুই দিনের টানা বর্ষণের কারণে নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে এসব বালুর বস্তা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। অধিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড় থেকে ঢলের পানি আসতে থাকলে যেকোন সময় বালির বস্তা সরে যেতে পারে। ফলে ঘটে পারে অনাখাংকিত ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে ধস ঠেকাতে সেতুর নিচের একটি অংশে বস্তা দিয়ে স্তুপ তৈরি করা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসের টানা বৃষ্টিতে সেতু দেবে গিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়ে। পর্যটন নগর কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ১০ হাজারেরও বেশি যানবাহন।
তারা আরো জানান, সেতুর গার্ডারের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। পাঁচটি পিলারের (মূল স্তম্ভ) মাঝখানের ৩ নম্বর পিলারে দেখা দিয়েছে ফাটল। সেতুর ওপর অংশেও কয়েকটি জায়গা ফুটো হয়ে গেছে। এসব ফুটো ঢেকে দেওয়া হয়েছে লোহার পাটাতনে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৬০ সালে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর ওপর ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে সওজ বিভাগ এটি দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে সেতুটি পুন:নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে এবং সেতুটির নকশা তৈরী করা হচ্ছে। শীঘ্রই আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানান সওজ।
চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, সওজের ভেঙে যাওয়া রেলিং মেরামত এবং দেবে যাওয়া অংশ আবারও সংস্কার করে যানবাহন চলাচল নির্বিগ্ন করে। সেতুর ওপরে কোন গাড়ি উঠলেই পুরো সেতু কেঁপে ওঠে। বালুর বস্তা দিয়ে এতদিন একটি ব্যস্ততম সেতু টিকিয়ে রাখা গেলেও এখন আর সম্ভব নয়। যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ধসে যেতে পারে সেতু।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ। ব্রীজের নিচে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে সার্পোট হিসেবে বালির বস্তার ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরকে ১০ টনের অধিক ওজনের যানবাহণ চলাচল না করার জন্য চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এর কোন ফল পায়নি। যদি যানবাহণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি আরো অনেকদিন ঠিকবে।
You must be logged in to post a comment.