চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির। এই মন্দিরে তৈরী করা হয়েছে মা দূর্গা, স্বরস্বতী, লক্ষী, কার্তিক ও গণেশ, সিংহ ও অসুরের মূর্তি। এই মূর্তিগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিমা শিল্পীর রংতুলির ছোঁয়ায়। এই ভাবেই কক্সবাজারের দুটি উপজেলা চকরিয়া ও পেকুয়ায় সাজ সাজ রব পড়েছে। চকরিয়ায় ৪১টি ও পেকুয়ায় ১১টি মন্দিরে মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে প্রতিমা দেবীর দুর্গোৎসব। পাশাপাশি দু’উপজেলার পালিত হচ্ছে ৪১টি ঘট পুঁজা। পুরো বছর জুড়ে এই দিনটির জন্য ক্ষণ গণনার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবারও কমতি নেই সেই উৎসাহ-উদ্দীপনার।
এবার দেবী এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে গমন করবেন দোলায় চড়ে। ৬ষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি অনুষ্ঠানেই সনাতন ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি মুসলিম, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা অংশ নেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এখানকার দুর্গোৎসব অসম্প্রদায়িক চেতনার মহোৎসবে রূপ পেয়েছে।
চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির দুর্গাপুঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিল্টন কিশোর দাশ বলেন, এই মন্দিরে ১৯৮৭ সাল থেকে দুর্গোৎসব হয়ে আসছে। এবার অত্যধিক আকর্ষণীয় করে তুলতে সাজানো হয়েছে মন্ডপ। আমাদের মন্ডপ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করছে।
চকরিয়া উপজেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক তপন কান্তি দাশ বলেন, উপজেলা ছাড়াও মন্ডপ ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকবে স্বেচ্ছাসেবক টিম। সরকারী-বেসরকারী অনুদানের টাকায় পালিত হবে শারদীয়া দুর্গাপুঁজা।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ মাসুদ আলম বলেন, চকরিয়া ও পেকুয়ার ৯৩টি প্রতিমা ও ঘট পুঁজা চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে চকরিয়া ও পেকুয়ায় শারদীয়া দুর্গোৎসব শেষে প্রতিবারের মতো এবারও মাতামুহুরী নদীর চিরিংগা ব্রীজ পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এলক্ষ্যে রবিবার প্রস্তুতি সভায় বিসর্জন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল সুশীলকে আহবায়ক, ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে’কে সদস্য সচিব ও রতন বরণ দাশকে অর্থ সচিব করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
You must be logged in to post a comment.