তিন মামলায় মোট ৫৩ দিন কারাভোগ করার পর অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসসুম ইসলাম মামলার দায় থেকে এই বাঁ-হাতি স্পিনারকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগস্ট আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ইয়াহিয়া। তদন্তে সানির সঙ্গে নাসরিন সুলতানার বিয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়। সানির সাথে তার মা আমেনা বেগমকেও এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে আরাফাত সানি ও স্ত্রী দাবিদার তরুণী নাসরিন সুলতানার মাঝে ঘনিষ্ঠতা হয়। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের তিন বছরেও সানি নাসরিন সুলতানা নামের ওই তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি।
এরপর ২০১৬ সালের ১২ জুন রাতে নাসরিন সুলতানা নামের একটি ভুয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে আসল নাসরিনের ফেসবুক আইডিতে মেসেঞ্জারে সানি ও ওই তরুণীর অন্তরঙ্গ কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতেই চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন ওই তরুণী।
ওই মামলায় ২২ জানুয়ারি সানির আমিন বাজারের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর যৌতুকের দায়ে এবং শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে আরও দুটি মামলা করা হয় সানির নামে। যৌতুকের মামলায় সানির পাশাপাশি তার মাকেও আসামি করা হয়। মোট ৫৩ দিন কারাগারে থাকার পর গেল ১৫ মার্চ জামিনে মুক্তি পান সানি।
পরবর্তীতে দুই পক্ষের সমঝোতায় নাসরিনকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে ঘরে তুলে নেয় সানির পরিবার। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ভারপ্রাপ্ত বিচারক আতাউর রহমানের আদালতে নাসরিন সুলতানা সাক্ষ্য দেন। সেখানে জবানবন্দীতে নাসরিন বলেন, ‘আরাফাত সানি আমার স্বামী। অনেক সময় আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। আমার কিছু ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়। এ কাজে আমি তাকে সন্দেহ করেই আসলে মামলাটি করি। আমি তাকে ভুল বুঝেছিলাম। সে জন্য আমি দুঃখিত।’
সূত্র:মেহেরিনা কামাল মুন-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.