সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / প্রাকৃতিক ও পরিবেশ / রামুর নাগরিক সমাজের সাথে বৈঠকে -জেলা প্রশাসক

রামুর নাগরিক সমাজের সাথে বৈঠকে -জেলা প্রশাসক

দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :

কক্সবাজারের রামুতে অসংখ্য ইটভাটা থেকে নির্গত কার্বণে জনজীবন হুমকির মুখে পড়া আর অপরিকল্পিত উন্নয়নসহ নানা সমস্যা নিয়ে রামুর সচেতন নাগরিক সমাজ ৭ জানুয়ারী জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের সাথে বৈঠক করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন, দেশের যে কোন উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলে দেশ আজ সমৃদ্ধ হচ্ছে। দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। আগের সেই গরীব রাষ্ট্র নেই বাংলাদেশ। তার একমাত্র কারন হচ্ছে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন। তাই উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাঁধা দেয়া যাবেনা। এতে সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তবে সব উন্নয়ন হতে হবে ভবিষ্যতকে সামনে রেখে। যে কোন উন্নয়ন হতে হবে পরিকল্পিত উন্নয়ন।

তিনি রামুকে কক্সবাজারের উর্বর ভূমি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, রামুবাসী নিজেরা অনেক সচেতন এবং জ্ঞানী মানুষের ভূমি। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই রম্যভূমির নানাভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের বিশেষভাবে তদারকি করেন। তবে জেলার সবচেয়ে বেশি ইটাভাটা হচ্ছে রামুতে। আইন না মেনে ইটভাটা হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটাভাটা দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সংগঠন ভয়েস অব রামুর আহবায়ক শিক্ষাবিদ মো: নাসির উদ্দিন, রামু কলেজের অধ্যক্ষ মো: আবদুল হক, এডভোকেট হোছাইন আহাম্মদ আনসারী, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: নাছির উদ্দিন, এডভোকেট রমিজ উদ্দিন, এডভোকেট জসিম উদ্দিন,জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হোসাইনুল ইসলাম, এডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন, কর আইনজীবী সিরাজ উদ্দিন, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দীপু।

পরে রামুর নাগরিক সমাজের পক্ষে রামুর সমস্যা নিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়, রামুতে ৪০ টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এদের ৯০ ভাগের অনুমতি নেই। রামুর বনভূমি ও কৃষি জমি এমনিতেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এর সাথে ক্রমবর্ধমান ফসলি জমির পরিমাণ করছে সংকুচিত। জমির টপ সয়েল তুলে নেয়ায় উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এই অবস্থায় রামুর জনজীবন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার স্বার্থে অনুমতিবিহীন ইটভাটাগুলোর কাজ জরুরী ভিত্তিতে বন্ধকরণ ও ইটভাটাগুলোর মধ্যে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৩ অনসৃত না হয়ে থাকলে সেগুলোর কাজ বন্ধ রাখা না হলে তা রামুবাসীর জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়বে।

জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের পাশে নির্মিতসহ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে ১ জনকে কুপিয়ে খুন, আহত ৭

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/