আকাশ মেঘলা, কোথাও মেঘের আনাগোনা। কখনও কখনও কর্কশ গর্জনও শোনা যায়, এই বুঝি বসন্তেই নেমে আসছে কালবৈশাখী! হিমালয় ও বঙ্গোসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১০ মার্চ শুক্রবার আবহাওয়ার পূর্বভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। আগামী ২৬ ঘণ্টার আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এসব বিভাগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্ন হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল রংপুরের রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে সীতাকুন্ড ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার, যা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া রূপে ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার।
শুক্রবার সকাল ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯১ ডিগ্রি। আগামী ৭২ ঘণ্টায় (৩ দিন) আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আবহাওয়া পরিস্থিতির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.