সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / লামায় মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে

লামায় মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামার সরই ইউনিয়নের “রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের” সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মসজিদের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। দান সূত্রে পাওয়া মসজিদের ২০ বছরের দখলীয় প্রায় ৪০ শতকের একটি পাহাড়ি জায়গায় গত ৫ দিন আগে রাতের আধাঁরে ঘর নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা করছে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে এলাকার শত শত মুসল্লী ও জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরজমিনে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে শত শত মুসল্লী বিষয়টি নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা যায় জায়গাটি লম্বাখোলা এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ (৮০) মসজিদকে দান করেন। জায়গা দাতা আব্দুল আজিজ জানান, এলাকাবাসীর দেয়া চাঁদা ও মুষ্টি চাউল মসজিদের খরচ মেটানো হতো। গরীব এলাকা বলে মসজিদের খরচ চালাতে সমস্যা হওয়ায় আমি আমার ভোগদখলীয় প্রায় ৪০ শতক পাহাড় মসজিদকে দান করি। এই জায়গার উপর কয়েক দফা একাশি ও আকাশমনি প্রজাতির চারা লাগিয়ে তারা বিক্রি করে মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। গত মাস দুয়েক আগেও ওই জায়গা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করা হয়েছে। যে টাকা এখনো মসজিদের কোষাগারে জমা রয়েছে। সেই জায়গা কিভাবে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম নিজের দাবী করেন?

লম্বাখোলা এলাকার সর্দ্দার মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, জন্ম থেকে আমরা এই এলাকায় বসবাস করছি। মসজিদের জায়গা কিভাবে রফিকুল ইসলামের হয়? রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের পাশাপাশি এই কমিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, হফেজখানা, কবরস্থান, এতিমখানা পরিচালনা করেন। দ্বীনি এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

গায়ালমারা পাড়ার মোঃ কামরুজ্জামান, লম্বাখোলা গ্রামের আব্দুল মন্নান, বারেক হোসেন সহ অনেক জানান, সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালে রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জাম মসজিদের দখলীয় জায়গা তার বাবা আব্দুর রশিদের দাবী করে বিক্রি করে দেয়। তার বিরুদ্ধে মসজিদের অর্থ আত্মাসতের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিলেও সমাধান হয়নি। সেক্রেটারীর অর্থ আত্মসাতের বিচার না হওয়ায় কয়েক গ্রামের লোকজন মসজিদের সাপ্তাহিক মুষ্টি চাল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হফেজখানা ও এতিমখানায় আগে মাসিক ৬শ টাকা দিয়ে ছাত্ররা কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতো এখন ১ হাজার ৫শত টাকা নিচ্ছে। এতে করে গরীব শিশুরা পড়ালেখা করতে পারছেনা এবং দিন দিন ছাত্র কমে যাচ্ছে।

রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ শামসুল আলম তাবলীগে যাওয়ায় কথা হয় তার ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করলেও কমিটির কয়েকজন মিলে সুবিধা ভোগ করায় কেউ কিছু বলছেনা। মসজিদের জায়গা নামজারি করার কথা বলে অনেক টাকা নিয়েছে সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। কি এখনো জায়গা গুলো মসজিদের নামে নামজারি হয়নি।

এই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি যেখানে টিনের ঘর তুলেছি, সেখান থেকে উত্তরের সাড়ে ৪ একর জায়গা বন্ধোবস্তি মূলে আমার। আর আমার ঘরের দক্ষিণের খালি জায়গাটি (সেলিমের রাবার বাগান পর্যন্ত) রহমতখোলা বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের।

সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস কোম্পানী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দুইপক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। মসজিদের সভাপতি মোঃ শামসুল আলম তাবলীগ থেকে ফিরে আসলে বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/