মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
লামা উপজেলায় পুলু মং মার্মা (২৯) নামে একজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। শনিবার (৪ আগষ্ট) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর বাজার হতে তাকে আটক করা হয়। আটক পুলু মং মার্মা রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার শীলছড়ি চিতমরম এলাকার কেপিএম ময়দং পাড়ার সিথোয়াইউ মার্মার ছেলে।
বৈল্ল্যারচর এলাকার বাসিন্দা রবিউল আলম ভূঁইয়া ও কয়েকজন লোক বলেন, সকাল ১০ টার দিকে খালি গায়ে টাউজার পড়া ও কাঁদে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে ঘিলা পাড়ার সতীশ ত্রিপুরার (৫০) সঙ্গে উপরের দিকে যাচ্ছিল পুলু মং মার্মা। অপরিচিত দেখে ও আমাদের সন্দেহ হলে তাকে ডাক দিই। সে কথা না শুনে চলে যাচ্ছিল। পরে দৌঁড়ে গিয়ে তাকে ধরি। এসময় তার নাম পরিচয় জানতে চাইলে সে কয়েকবার আলাদা আলাদা পরিচয় দেয়। সে সঠিক করে কোন পরিচয় দিতে পারেনি। আমাদের উপরের এলাকা ঘিলা পাড়া, রুং রুং পাড়া, দোছড়ি, পোপা হেডম্যান পাড়া, কাইরাং পাড়া গুলো পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্য হিসেবে পরিচিতি। দূর্গম এলাকা হওয়ায় অন্য এলাকা হতে লোকজন এসে এইসব পাড়ায় থেকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে নির্বিঘ্নে চলে যায়। পুলু মং মার্মা বলে সতীশ ত্রিপুরা আমার মামা। কিন্তু সতীশকে প্রশ্ন করলে সে তাকে চিনে না বলে জানায়। তখন আমরা নিশ্চিত হতে পারি সে পাহাড়ি কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তখন সেনাবহিনীকে খবর দিলে তারা এসে তাকে নিয়ে যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পুলু মং মার্মার ব্যাগ তল্লাশী চালালে তার ব্যাগ হতে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি পাওয়া গেলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এর আগে সে নিজেকে লামার দোছড়ি পাড়া, ঘিলা পাড়ার বাসিন্দা বলে দাবী করে। পরে তার বাড়ি বান্দরবান বলেও জানায়। সর্বশেষ আইডি কার্ডে তার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়।
খবর পাওয়া মাত্র সেনাবাহিনীর রুপসীপাড়া ক্যাম্পের একটি টিম পুলু মং মার্মাকে নিয়ে যায়। আলীকদম সেনা জোনের দায়িত্বরত এক সেনা অফিসার জানান, তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
এই বিষয়ে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষয়টা লোক মুখে শুনেছি। সেনাবাহিনী হতে আমাদের কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
You must be logged in to post a comment.