মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
বান্দরবানের লামায় এলজিইডি’র উন্নয়ন কাজের ৩০লাখ টাকা সিকিভাগ কাজ না করে সরকারী হিসাব থেকে উত্তোলন করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ‘লামা উপজেলা পরিষদ ভবন ও জোড়াবাড়ি মেরামত’ নামে এডিবি’র প্রকল্পের ৩০লাখ টাকার মধ্যে ৩০ জুন প্রকল্পের কাজ শতভাগ কাজ হয়েছে বলে কাগজে কলমে দেখিয়ে ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫শত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত প্রকল্পের ১শতাংশ কাজও হয়নি।
উক্ত প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অংশে থোয়াই মার্মা এর প্রোপাইটর অংশে থোয়াই মুঠোফোনে বলেন, এখন জুন মাস, এটাই নিয়ম। আমি কিছু জানিনা, এলজিইডি অফিস সব জানেন। আমি বাইরে আছি, আসলে জানাব। এছাড়া কাজ কতটুকু হয়েছে বলে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে লামা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জাকের হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি বিষয়টি সত্য। ৩০ জুন চলে গেলে টাকা গুলো তামাদি হয়ে যাবে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর মতামতে ও অনুমতি নিয়ে টাকা গুলো উত্তোলন করা হয়েছে। সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারী নিয়ম মতে কাজ না করে টাকা তুলার কোন নিয়ম নেই।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মোঃ শাহীন নওশাদ জানান, লামা উপজেলা পরিষদ ভবন ও জোড়াবাড়ি মেরামত’ নামে এডিবি’র প্রকল্পের ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫শত টাকা গত ২৮ শে জুন প্রকল্পের শতভাগ কাজ হয়েছে দেখিয়ে ছাড় করা হয়েছে।
শতভাগ টাকা উত্তোলনের বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জাকের হোসেন সব জানেন। তবে এতটুকু সিদ্ধান্ত হয় যে, যেহেতু টাকাটা তামাদি হয়ে যাবে তাই টাকা তুলে রাখা হবে। আগামী জুলাই মাসে কাজ করে ঠিকাদারকে পে-অর্ডার ভেঙ্গে তাদের টাকা দিয়ে দেয়া হবে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, আর কত জিজ্ঞাসা করবেন। তোমাদের সাথে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জাকের হোসেন দেখা করবে।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংক লামা শাখা হইতে প্রকল্পের শতভাগ টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অংশে থোয়াই মার্মার একাউন্টে হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। সরকারী টাকা আত্মসাৎ কারী কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
দ্রুত প্রকল্পের যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে সরকারী অর্থ অপচয় ও লুটপাট বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সহায়তা কামনা করেছে এলাকাবাসি।
You must be logged in to post a comment.