মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান।
সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের এই শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কাজী কেরামত আলী।
শপথ নেওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মন্ত্রণালয় বণ্টন সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
নতুন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪। তাদের মধ্যে মন্ত্রী ৩৩ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন এবং উপমন্ত্রী দুইজন।
এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুপুর আড়াইটা নাগাদ গাড়ি পাঠানো হয় হবু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বাড়িতে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল। এর ১০ মিনিট পরে বঙ্গভবনে আসেন সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আসেন ৪টা ৫০ মিনিটে। সব শেষ ৪টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। মোস্তাফা জব্বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন। তাকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী-১ আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
একেএম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত। এই সংসদ সদস্য বর্তমানে মুক্তিযুক্ত মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্বে রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল তার ভাই।
সূত্র:প্রদীপ দাস-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.