হামিদুল হক; ঈদগড় :
চলতি মওসুমে কক্সবাজারের ঈদগড় অঞ্চলে আমের ভালো ফলন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই আশায় বুক বেঁধে আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক-চাষিরা। এবার আমগাছের শাখায় শাখায় দেখা যাচ্ছে মুকুলের বিপুল সমারোহ। মুকুলে ঘ্রাণে ঘ্রাণে উদ্ভাসিত এখন এই অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদ।
সামান্য দেরি করে হলেও এখন গাছে গাছে শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টির পর প্রস্ফুটিত মুকুলে ভরে উঠেছে অঞ্চলের আম বাগানগুলো। বাগানে তাই বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার দীর্ঘ সময় তীব্র শীতের প্রকোপ থাকায় দেরিতে আমের মুকুল এসেছে। তাদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এলাকায় কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসলেও তার পরিমাণ ছিলো কম। তবে মধ্য ফাল্গুনে এসে প্রায় শতভাগ গাছেই এখন প্রস্ফুটিত হয়েছে মুকুল। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাল্টে গেছে আম বাগানের চেহারা। এখন গাছে গাছে শুধু মুকুল আর মুকুল। স্বর্ণালী মুকুলের সুবাসিত গন্ধে এখন মুখরিত ঈদগড়। ছোট বড় সব ধরনের গাছেই এবার মুকুল এসেছে। এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা জেগেছে চাষিদের মনে। এই অঞ্চলের মানুষের সময় এখন কাটছে আম গাছ ও মুকুলের যত্ন নিয়েই। আর গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে মৌমাছি আর ভ্রমরের সুর-ব্যঞ্জনা। পথে-প্রান্তরে চোখ মেললেই সদ্য মুকুল ফোটার এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য।
ঈদগড়ের খন্দকারপাড়া, ধুমছাকাটা, হাসনাকাটা, বড়বিল, করলিয়ামোরা সহ বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য পাল্টে গেছে আমের মুকুলে। কিছুটা দেরী হলেও শেষপর্যন্ত গাছভর্তি মুকুল দেখে আমচাষিরা অনেকে খুশি। ভালো বার্তা দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এবার মোক্ষম সময়ে আমের মুকুল এসেছে গাছে গাছে।প্রাকৃতিক বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না হলে এবার এই অঞ্চলে আমের ভালো ফলন হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে আমের ফলনের জন্য খুবই ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চাষ হয়ে থাকে নানা জাতের আম। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই আম চাষের জমি বাড়ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরাও। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যার প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
You must be logged in to post a comment.