সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / সংস্কারের উদ্যোগ নেই : প্রবল বর্ষনে ক্ষত বিক্ষত উখিয়া গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা

সংস্কারের উদ্যোগ নেই : প্রবল বর্ষনে ক্ষত বিক্ষত উখিয়া গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

ঘুর্ণিঝড় মোরা ও পরবর্তী প্রবল বর্ষণে উখিয়ার গ্রামীণ জনপথের মানুষের দুর্ভোগ ব্যাপক আকার ধারন করেছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে-চুরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার সাড়ে আট হাজার পরিবার কোনরূপ সরকারী-বেসরকারী ত্রাণ সহায়তা ছাড়াই ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের মাঝে সরকারের সহযোগীতার আশ্বাসের ফুলঝুড়িতে নিরব ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।

সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে উখিয়া প্রায় সর্বত্র গ্রামীণ যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। রাজাপালং ইউনিয়নের মালভিটা পাড়া রাস্তা, খয়রাতি পাড়া রাস্তা, ডিগলিয়া-ডেইলপাড়া রাস্তা, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী বিজিবি ক্যাম্প সড়ক, থাইংখালী-তেলখোলা সড়ক, পালংখালী-মোছারখোলা সড়ক, রত্নপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না সড়ক, গয়ালামারা-চাকবৈটা-কড়ই বনিয়া সড়ক, জালিয়াপালং ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া সড়ক, নিদানিয়া সড়ক, মনখালী কোনারপাড়া সড়ক, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা কোলালপাড়া সড়ক, মৌলভী পাড়া সড়ক, উত্তর পাগলির বিল সড়ক গুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের তোড়ে এসব গ্রামীণ সড়ক সহ আরো অনেকে সড়কের পূর্বের এইচ বিবি বা বিছানো ইটের অনেকাংশ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে উঠে গিয়ে পাশ্ববর্তী বিলের খাদে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জরুরী মেরামত ও সংস্কার না হওয়ায় উপড়ে পড়া এসব ইট স্থানীয় কতিপয় লোকজন রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ৩০ মে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের তৈরীকৃত তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ঘরবাড়ী প্রায় সাড়ে ৮হাজার পরিবার কোন ধরনের উল্লেখযোগ্য সাহায্য সহযোগীতা পায়নি।

উখিয়া ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাজাপালং ইউনিয়নে ১৬৮০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, ২৩৫০টি অংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, জালিয়াপালং ইউনিয়নে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ৫০০টি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০০টি, হলদিয়াপালং ইউনিয়নে ২০০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, ৫৫০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত, রাত্নাপালং ইউনিয়নে ১৫০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত, ৭০০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং পালংখালী ইউনিয়নে ২০০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৬০০টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষয়ক্ষতি সহ মোট ২হাজার ৭৩০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৫হাজার ৭শ ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির অধিকাংশ নেহায়েত অতিদরিদ্র পরিবারের একমাত্র সম্পদ কাঁচা ঘর। যেগুলো মেরামত বা জরুরী সংস্কারের সামথ্য অনেকের নেই। ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে তেমন কোন তহবিল নেই যেগুলোকে জরুরী সাহায্যের আওতায় আনা যায়।

উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ জানান, উখিয়ার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বা পুর্ণবাসনের তেমন কোন সুখবর নেই। ঘুর্ণিঝড় মোরার কয়েকদিন পর মাত্র ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেলেও যা ক্ষতির তুলনায় অতি নগণ্য।

উখিয়ার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা ও তৎপরবর্তী প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে উখিয়ার প্রায় গ্রামীণ রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার ও পুর্নবাসন করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় চলতি বর্ষাতে এসব রাস্তাঘাট আরো ব্যাপক ক্ষতিক্ষতির আশংখ্যা রয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/workshop-Kamal-15-5-2024.jpeg

রামুতে সিডিডি প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কামাল শিশির; রামু : ১৪ মে, বুধবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদ হিমছড়ি হল ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/