সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সপ্তাহ পরে শারদীয় দূর্গোৎবের মহাআয়োজন : জেলার সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন ‘দূর্গা ফটক’ এখন ঈদগাঁওতে

সপ্তাহ পরে শারদীয় দূর্গোৎবের মহাআয়োজন : জেলার সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন ‘দূর্গা ফটক’ এখন ঈদগাঁওতে

সপ্তাহ পরে শারদীয় দূর্গোৎবের মহাআয়োজন : জেলার সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন ‘দূর্গা ফটক’ এখন ঈদগাঁওতে

সপ্তাহ পরে শারদীয় দূর্গোৎবের মহাআয়োজন : জেলার সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন ‘দূর্গা ফটক’ এখন ঈদগাঁওতে

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে সারাদেশের মত কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও’তেও শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও মহাকর্মযজ্ঞ। কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও কেন্দ্রিয় কালীমন্দিরে দূর্গা দেবীর চরণে নৈবেদ্য নিবেদন করতে গত একমাস ধরে পুজা কমিটি অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জানা যায় , সংবৎসরের জীর্ণতা ও মলিনতাকে ধুয়ে মুছে নতুন বারতা ও নতুন সোৎসাহে নব জাগরণের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে পুজা কমিটি তাদের ওই প্রস্তুতি শুরু করে । পুজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দূর্গা পুজাকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের অংশ হিসেবে কালীমন্দিরে তৈরী হচ্ছে জেলার সর্ববৃহৎ দৃষ্টিনন্দন দূর্গা ফটক, সুপরিসর পুজামন্ডপ, অতিথিশালা, পুজা কমিটির কার্যালয়, নতুন রূপে সাজছে মন্দির প্রাঙ্গণ। নিরাপত্তা জোরদার করতে কালীমন্দিরে চারপাশে নির্মিত হচ্ছে সীমানা প্রাচীর, নান্দনিক শিল্পছোঁয়ায় তৈরী হয়েছে গণেশ ও দূর্গা প্রতিমা।

কালীমন্দির পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কৃষিবিদ জিকো দাশ শুভ্রের মতে, ইতোমধ্যে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতিপর্বের অর্ধেক শেষ হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী উত্তম রায় পুলকের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের দূর্গোৎসবকে ঝাঁকজমপূর্ণভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। বিশেষ করে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র শারদীয় দূর্গোৎসব পালনের হারানো শৌর্য ও গৌবর ফিরিয়ে এনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের অনিন্দ্য মেলবন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত করাই আমাদের মূলফোকাস। কালীমন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম রায় পুলকের মতে, স্থবির অচলায়তন ভেঙ্গে দূর্গাদেবীর দশভুজের শক্তিতে সামাজিক উচ্ছিষ্ট অসুর-হায়েনাবধের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত শারদীয় দূর্গোৎসব। দূর্গার দশহাত দশদিকচক্রবানের সমস্ত অনাচার, ব্যভিচার, অসাম্য ও সহিংসতাকে বিতাড়িত করে শান্তিসুখের উল­াসে মেতে উঠবে পুরো ধরিত্রী।

আরো জানা যায়, বাবুল ডেকোরেশনের সত্ত্বাধিকারী সাবেক এমইউপি বাবুল কান্তির পরিকল্পনা ও নকশায় এবারের পুজামন্ডপে জেলার সর্ববৃহৎ ও দৃষ্টনন্দন দূর্গা ফটক তৈরী করছে কালীমন্দির কর্তৃপক্ষ। পুজামন্ডপ ও দূর্গা ফটকের নকশা প্রণয়নকারী বাবুল কান্তি প্রতিনিধিকে জানান, নির্মাণাধীন দূর্গা ফটকটি সম্পূর্ণভাবে দূর্গা পুজার ভাবমহিমায় সমসাময়িক ধারণা অনুসারে নকশা করা হয়েছে। দূর্গা ফটকটির দৈর্ঘ্য ৮০ফুট, প্রস্থ ২০ ফুট এবং উচ্চতা ৬০ ফুট। ফটকটির মূলকাঠামো তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে ২০-২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৫০টি বাঁশ। যাতে দড়ি লেগেছে প্রায় ৩৫ কেজি। ফটকটি তৈরীর কাজ সম্পন্ন করতে ২৫ জন শ্রমিকের সময় লাগবে ২০দিন। ফটক’টি তৈরীর দ্বিতীয় ধাপে মুলকাঠামোতে মোড়ানো হবে সাদা কাপড়ের গেটপিস। এতে সর্বমোট গেটপিস লাগবে আনুমানিক ১২শ। ফটক’টির আলোকসজ্জায় ব্যবহৃত হবে ১৫০টি হ্যালোজেন বাল্ব। দূর্গা ফটক’টি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। ইতোপূর্বে এত বিশালাকার দূর্গা ফটক কক্সবাজার জেলায় তৈরী হয়নি বলে দাবী নির্মাতা বাবুল ডেকোরেশনের।

পুজামন্ডপ ও দূর্গা ফটক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিশীলিত সৃষ্টিশীল শিল্পবোধ ও নান্দনিক সৌন্দর্য্য চেতনায় তৈরী হচ্ছে দূর্গা ফটকের মূলকাঠামো। ইতোমধ্যে ভীড় করতে শুরু করেছে বিপুল দর্শনার্থী। আর সপ্তাহ পার হলেই মহা আনন্দোৎসবে মেতে উঠবে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে যথাসময়ে পুজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দ। দূর্গা পুজাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে তৈরী হওয়া উৎসাহ উদ্দীপনা জগতের ভেদাভেদ দূর করে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে চলমান ধর্মীয় সহাবস্থান ও সংহতি নিশ্চিত করবে, এমনটাই প্রত্যাশা সর্বমহলের।

উল্লেখ্য যে, জেলার আট উপজেলা তথা পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ, রামুসহ কক্সবাজার সদরের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন তাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় শারদীয় দূর্গোৎসব ১৯ অক্টোবর থেকে জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/