অনলাইন ডেস্ক :
১৯৪৮-৮৯ এর ঘটনা নিয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র ‘দাওয়াল’। সেই দাওয়ালদের নিয়েই ছবি বানাচ্ছেন পিকলু চৌধুরী। ছবির নামও ‘দাওয়াল’। নাটক, বিজ্ঞাপন ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে হাত পাকিয়েছেন নির্মাতা পিকলু চৌধুরী। মার্চ-এপ্রিলে ছবিটির শুটিং করবেন পিকলু। এখন চলছে ছবিটির শিল্পী নির্বাচন। পিকলু বলেন, ‘পিরিয়ডিক্যাল গল্পের ছবি এটি। গল্পই এই ছবির প্রধান আকর্ষণ। ছবির বেশির ভাগ শিল্পীই নিচ্ছি থিয়েটার থেকে।’
নির্মাতা জানান, ‘আমার সিনেমাটি একটি পিরিয়ডিক্যাল গল্পের সিনেমা। গল্পই এই ছবির প্রধান আকর্ষণ। তাই ছবিটির অধিকাংশ শিল্পীই থিয়েটার থেকে নেওয়া হচ্ছে। আশা করি সব ঠিকঠাক করে আগামী মার্চের মধ্যেই শুটিংয়ে নামতে পারব।’
ইতোমধ্যে ছবিটির সঙ্গে চিরকুট ব্যান্ডেরি ইমনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছন তিনি। ধীরে ধীরে ছবিটির অন্যান্য কলাকুশলী ও শিল্পীদের নাম জানানো হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২০টি চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের একটি ‘দাওয়াল’। সাধারণ ক্যাটাগরির এই ছবিটিও অনুদান ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ছবিটির সহ প্রযোজক হিসেবও রয়েছেন রকিবুল হাসান চৌধুরী পিকলু।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ‘দাওয়াল’-এর কথা জানেন না এ প্রজন্মের অনেকেই। ১৯৪৮-৮৯ এর ঘটনা এটি। সে সময় ‘সে সময় খাদ্য সমস্যা দেখা দিয়েছিল দেশের বেশ কয়েকটা জেলায়। বিশেষ করে ফরিদপুর, কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার জনসাধারণ এক মহাবিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। সরকার কর্ডন প্রথা চালু করেছিল। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কোনো খাদ্য যেতে দেওয়া হতো না। ফরিদপুর ও ঢাকা জেলার লোক, খুলনা ও বরিশালে ধান কাটার মৌসুমে দল বেঁধে দিনমজুর হিসেবে যেত। এরা ধান কেটে উঠিয়ে দিত। পরিবর্তে একটা অংশ পেত। এদের ‘দাওয়াল’ বলা হতো। হাজার হাজার লোক নৌকা করে যেত। আসার সময় তাদের অংশের ধান নিজেদের নৌকা করে বাড়ি নিয়ে আসত। সে সময় তাদের নিয়ে অনেক ঘটনাই ঘটে। এই দাওয়াল নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। যা এবার উঠে আসবে পর্দায়।
You must be logged in to post a comment.