সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ক্রীড়া / সাকিব-মুস্তাফিজ তোপে ১৭০ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে

সাকিব-মুস্তাফিজ তোপে ১৭০ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে

শুরুতেই জোড়া আঘাত হেনে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছিলেন সাকিব। পরে ১টি করে উইকেট নিয়ে তাদের ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন মাশরাফি-মোস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে পারল না অতিথিরা। ধারাবাহিকভাবে টাইগার বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৪৯ ওভারে ১৭০ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।

সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তিনি বল তুলে দেন দলের অন্যতম ভরসা সাকিব আল হাসানের হাতে। আস্থার প্রতিদানও দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। প্রথম ওভারেই সলোমন মির ও ক্রেইগ অরভিনকে ফিরিয়ে দেন তিনি। তারা কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এরপর ব্রেন্ডন টেলরকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা। তবে তাকে বেশি দূর এগোতে দেননি মাশরাফি। দলীয় ৩০ রানে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানকে ফেরান তিনি।

মাসাকাদজা ফিরলেও থেকে যান টেলর। সিকান্দার রাজাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন তিনি। তবে সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ৫১ রানে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে অভিজ্ঞ টেলরের (২৪) প্রতিরোধ ভাঙেন তিনি।

তার পর ক্রিজে আসেন ম্যালকম ওয়ালার। তাকে নিয়ে দলকে টেনে তুলতে লড়াইয়ের আভাস দেন রাজা। এ যাত্রায় তাদের লড়াই থামিয়ে দেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দলীয় ৮১ রানে ওয়ালারকে (১৩) সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি।

একের পর এক ব্যাটসম্যানরা যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন রাজা। তার লড়াই চলতেই থাকে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন পিটার মুর। এক পর্যায়ে থামে রাজার লড়াইও। দলীয় ১৩১ রানে সাকিব-মুশফিকের যৌথ প্রচেষ্টায় রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। ফেরার অগে ৯৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যান।

রাজা ফিরে গেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬১ রানে গ্রায়েম ক্রেমারকে ফেরান তিনি। এটি তার তৃতীয় শিকার।

পরে জোড়া আঘাতে সফরকারীদের ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন রুবেল হোসেন। ৪৮ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলেন মুর ও ছাতারার উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান এ রিভার্সসুইং তারকা। তবে তা আলোর মুখ দেখেনি।

অতিথি শিবিরে শেষ পেরেক ঠুকেন মোস্তাফিজ। মুজারাবানিকে বোল্ড করে ফেরালে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজ ও রুবেল। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন মাশরাফি ও সানজামুল। সূত্র:globetodaybd.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/Khorshida-Jannat-Sagar-14-5-224.jpeg

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফাহমিদা বেগমের সাথে ঈদগাহ হাই স্কুল প্রধান শিক্ষকের সাক্ষাৎ 

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগমের সাথে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/