ভাসিয়ে নিয়ে গেলো তেজের জোয়ারে হিরু ভাইকে : মা যেন একটা জীবন্ত লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী হিরুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে তারঁই আপন ছোট ভাই সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র নেজাম উদ্দিন চৌধুরী নিলয়ের ষ্ট্রাটার্সটি অবিকল তুলে ধরা হলো……
১০ এরপর ১১। সংখ্যাতত্ব বরাবরই আমাদের প্রতি সু-প্রসন্ন। ২০১০ এ যখন আমার বাবর ভাই মরণ সাগরে ভেসে গেলো, ২০১১ এসে বললো, আমি কেন বসে থাকবো। ভাসিয়ে নিয়ে গেলো তার তেজের জোয়ারে হিরু ভাইকে। তারিখটাও বড় অদ্ভূদ! ১১/১১/১১। লিজেন্ডরা বোধ হয় লিজেন্ডের মতো করেই চলে যায়। তাই হয়তো এমন দিনে হিরু ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মায়ের বিয়ে ৬৭তে। আর হিরু ভাইয়ের জন্ম ৬৮তে। মাত্র ৪৩টা বছর জীবনের স্বাদ পেয়েছিলো আমার ভাই। আর বাবর ভাইয়ের আরো করুণ দশা। ৩৭ বছর বেঁচেছিলো সে। সে মরণ সাগরে ভেসে গিয়েছিল, জয় বাংলার লোক বলে। সে হারিয়ে গিয়েছিল, একটা আপোষহীন আওয়ামী পরিবারের ছেলে ছিল বলে। দল তখন মসনদে। আর হিরু ভাই ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। ওনি বুঝতেই পারলেন না নটবর মিত্ররা তার ছোট ভাইটিকে ফালি ফালি করার ডিজাইন তৈরি করে ফেলেছে। চোখের সামনে ছোট ভাইয়ের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া লাশ। কেন জানি তিনি এ মৃত্যুটাকে নিতে পারলেন না। ঝিমিয়ে পড়া দেহটা ঠিকঠাক ছিল, আত্মা পড়েছিল ছোট ভাইটির কাছে। অবশেষে এক বছর একুশ দিন পর তাঁর তিনি নিজেকে মৃত্যুর দিকে সঁপে দিলেন। দু’টো কবর পাশাপাশি। পাশে প্রিয় বাবা। সময়ের সাথে কিছুই মিলিয়ে যায়নি। মা যেন একটা জীবন্ত লাশ। মেজ ভাই হিমুকে একঘরে করার অপপ্রয়াস। আর স্যাবোটাজের ভয় তো আছেই। এতো শত অপরাজনীতির মাঝে নিজেদেরও কেমন জানি লাশ মনে হয়। মনে হয়, জসিম উদ্দীনের কবর কবিতার কবরের চাইতে আমাদের কবর সংখ্যা বেশী। বড় ভাই, তোমার ছেলে আলভী, মেয়ে অহনা আর ওশান বড় হচ্ছে। দেখো, একদিন ওরা তোমার রেখে যাওয়া স্বপ্ন পূরণ করবে। তুমি কেবল ওপারে ভালো থেকো, আমরা ভালো আছি।
উল্লখ্য যে, ১১ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কক্সবাজার সদর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আলমগীর চৌধুরী হিরুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী।
You must be logged in to post a comment.