সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / সোনাদিয়ায় আটকা পড়া জাহাজে লুটপাট অব্যাহত : পুলিশের অভিযান, মামলার প্রস্তুতি : আংশিক মালামাল উদ্ধার

সোনাদিয়ায় আটকা পড়া জাহাজে লুটপাট অব্যাহত : পুলিশের অভিযান, মামলার প্রস্তুতি : আংশিক মালামাল উদ্ধার

 

মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন; মহেশখালী :

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার ডুবোচরে আটকা পড়া জাহাজে ২দিন ধরে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এদিকে বড় একটি জাহাজ সোনাদিয়ায় আটকা পড়লেও কোস্ট গার্ডকে দেখা যায়নি উক্ত এলাকায়। এতে লুটপাটের মাত্রা বেড়ে গেছে বলে একাধিক জন জানান। কেন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে আসেনি এটা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

জানা যায়, ১২ জুন ভোরের দিকে স্থানীয় জাহাজটি দেখতে পেলেও জাহাজে কোন লোকজনকে দেখতে পায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে সকাল বেলায় কেউ হানা না দিলেও বিবাল ৩ টার দিকে পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার লোকজন জাহাজে গিয়ে লুটপাট চালায়। এ সময় বেশ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় দু’পাড়ার লোকদের মধ্যে লুটপাটে কম বেশি পাওয়ার জের ধরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয় হয়।

এদিকে জলদস্যু আনজু তার বাহিনী নিয়ে জাহাজ লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত গুলি করলে জাহাজে থাকা গ্যাজ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে জাহাজে আগুন ধরে যায়। তবে বৈরি আবাহওয়ার কারণে বৃষ্টি পড়ায় আগুন কোন রকমে নিয়ন্ত্রণে আসে বলে স্থানীয়রা জানান। ধারণা করা হচ্ছে বৈরী আবহাওয়ার তোড়ে গভীর সমুদ্র থেকে জাহাজটি সোনাদিয়ার চরে এসে আটকে যায়। এটি তীরে ভিড়ার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন জাহাজটিতে উঠে লুটপাট চালায়। যে যার মতো তেলভর্তি ড্রাম্প, লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য মালামাল লুট করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এদিকে জাহাজে লুটপাটে খবরে মহেশখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফররুখ আহমদ মিনহাজ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সোনাদিয়ায় জাহাজের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালায়। এ সময় ৫টি ফ্রিজ, ২০ টি লাইফ জেকেট, ৫টি তৈলের ব্যারেল, ৫টি চেয়ার উদ্ধার করে।

মহেশখালী থানার এসআই মিনহাজ বলেন, জাহাজে উঠে দেখা যায়, এতে ক্রো বা অন্য কোনো লোকজন নেই। মনে হচ্ছে এটি বাণিজ্যিক পণ্যবাহী জাহাজ। জাহাজে বেশ কিছু তেলের ড্রাম্প ও লাইফ জ্যাকেট রয়েছে। খবর পেয়েছি আরও বেশ কিছু পণ্য লুট করেছে স্থানীয় অসাধু কিছু লোকজন। এসব উদ্ধারে ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। লুট হওয়া বেশ কিছু তেল ও অন্যান্য পণ্য উদ্ধার করে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

এসআই মিনহাজ আরও বলেন, জাহাজের গায়ে লেখা ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেখে মনে হচ্ছে এটি কোরিয়ান কোনো জাহাজ। এটি এখন পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। ক্রো ও লোকজনহীন হওয়ায় জাহাজটি কোনো শিপ ব্রেকিং থেকে চলে এসেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন বলেন, সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বৈরী আবহাওয়ায় পড়ে জাহাজটি ভেসে এসে সোনাদিয়ার চরে আটকে যায়। জাহাজটি সুরাক্ষার চেষ্টা চালানোর পরও কিছু লোক জাহাজে লুটপাট করার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে। বর্তমানে জাহাজটি প্রশাসন এটি জিম্মায় নিয়েছে। তাদের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, জাহাজে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ যাওয়ার পর যারা লুটপাট চালিয়েছে তাদের বসতি সোনাদিয়া হবে না উল্লেখ করে বলেন, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/05/workshop-Kamal-15-5-2024.jpeg

রামুতে সিডিডি প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কামাল শিশির; রামু : ১৪ মে, বুধবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলা পরিষদ হিমছড়ি হল ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/