গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
দিন বদলের পালা নিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগীতায় অবশেষে দীর্ঘ একযুগ পর চালু হল উক্ত হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার। এই খবরটি উপজেলা ও পৌরসভার আনাচে-কানাছে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আনন্দ আর খুশির জোয়ারে ভাসছে টেকনাফের সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ।
হাসপাতাল সুত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগীতায় চালু করা হয় এই অপারেশন থিয়েটার। দীর্ঘ দিন পর হলেও শিক্ষার হার থেকে পিছিয়ে পড়া সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবায় আরো একধাপ এগিয়ে গেল। দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর আগে এই উপজেলার সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে প্রতিষ্টিত করা হয়েছিল এই হাসপাতালটি। অথচ অত্র এলাকার সাধারণ মানুষরা ঠিকমত, নিজের চাহিদা মত স্বাস্থ্য সেবা পায়নি। সেই সুত্র ধরে বেশ কয়েক বছর ধরে সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে সাধারণ মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে পর্যায়ক্রমে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, এই এলাকার হতদরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের উপর। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসে শত শত রোগী। সুত্রে আরো জানা যায়, এই হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার প্রতিষ্টিত করা হয়েছিল একযুগ আগে। কিন্তু প্রতিষ্টিত হলেও বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারনে উক্ত অপারেশন থিয়েটারটি বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারনে চালু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির হেলথ কেয়ার প্রকল্পের সহযোগীতায় চালু করা হয় অপারেশন থিয়েটার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারী বিভাগের কনসালট্যান্ট গোলাম হাবীব ময়না নেতৃত্বে একটিদল অপারেশন থিয়েটারটি চালু করে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বমোট ২০টি শিশুর মাইনর সার্জারী সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন বড়ুয়া বলেন, একযুগ পর হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের অপারেশন থিয়েটারটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট প্রকল্প সোসাইটির সহযোগীতায় চালু করা হয়েছে। টেকনাফবাসীর জন্য এক বিরাট পাওয়া বলে আমি মনে করি।
You must be logged in to post a comment.