অনলাইন ডেস্ক :
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কা’বা তওয়াফের মাধ্যমে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। মক্কা থেকে যাত্রা শুরু করেছেন তাবুর শহর বলে পরিচিত মিনার উদ্দেশে ১০ লাখেরও বেশি হাজি। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে গেছে এবার পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। এরপর শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায় করে তারা রওনা দেবেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে। সেখানে পবিত্র হজের খুতবা শুনবেন এবং ইবাদাত-বন্দেগিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন হাজিরা।
চলতি বছর আরাফতের মাঠে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় পবিত্র হজের খুতবা পাঠ করবেন দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক শায়খ ড. আবদুল করিম মুহাম্মদ আল ঈসা।
মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীদের কেউ মিনায় বাসে করেন। কেউ হেঁটে যান হজের অংশ হিসেবে। হাজিরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।
প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, নিজ নিজ হোটেলের সামনে থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন হাজিরা। একইভাবে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় কীভাবে ও কখন রওনা হবেন, তা-ও জানিয়ে দেয়া হয় আগেভাগে।
মক্কায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। মসজিদুল হারামের ভেতরে চিকিৎসা সেবাদানকারীরা বিভিন্ন জায়গায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হাজিরা। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
You must be logged in to post a comment.