নিজস্ব প্রতিনিধি; টেকনাফ :
টেকনাফের হোয়াইক্যং-এ চাকমারকুল গ্রামে দুর্বুত্তরা আসমা আকতার (১৫) নামের কিশোরীকে খুন করেছে। এসময় মারাত্মকভাবে জমখ হয়েছে হাসিনা আকতার নামে আরো একজন।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল গ্রামে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে আসমা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে। এতে এলোপাথাড়ি কোপে রক্তাক্ত জখম হয়েছে গৃহকর্ত্রী হাসিনা আক্তার।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা পুরাতন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিনের মেয়ে নিহত অাসমা আক্তার।
এঘটনায় গৃহকত্রী হাসিনা আক্তারকে (৩২) মুমুর্ষ অবস্থায় কুতুপালং রেডক্রিসেন্ট ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি করালেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত একটায় চমেকে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশ সহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাটি রহস্যজনক বলছেন আশপাশের লোকজন।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী সৈয়দ আলমের বাড়িতে বসবাস করতো তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার ও পালিত কন্যা আসমা আক্তার। শুক্রবার রাতে কে বা কারা বাড়িতে ঢুকে দুই জনকে উপুর্যপরী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় গোঙানীর শব্দ পেয়ে তাদের আত্মীয় শামসুর স্ত্রী শাহিনা আক্তার চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে দুইজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী গয়ালমারা এলাকায় এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন হাসিনা আক্তার । তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। উদ্ধারকারী আত্মীয়-স্বজনরা জানান দুইজনকে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সৈয়দ আলম ও হাসিনা আক্তারের এক সন্তান রয়েছে সে কক্সবাজারে একটি আবাসিক মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নাহিদ আদনান তাহিয়ান, টেকনাফ থানার পরিদর্শক অপারেশন শরীফুল হক, হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর আইসি সুব্রত রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর আইসি কিশোরী আসমার নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মুমূর্ষু হাসিনা আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার বা চট্টগ্রামে নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.