মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যে ১ ঘন্টার বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল রাস্তার কার্পেটিং। বান্দরবানের আলীকদমে উপজেলা পরিষদের সড়ক মেরামত এই কাজটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আলীকদম। নিম্নমানের বিটুমিন ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে কার্পেটিং করার এক সপ্তাহের মধ্যে তা উঠে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এলজিইডি আলীকদম অফিস সূত্রে গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আলীকদম উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার দুই হাজার মিটার মেরামতের কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এলজিইডি। বান্দরবানের কে-হোসাইন অ্যান্ড কোং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি করছেন আলীকদম উপজেলার জনৈক ঠিকাদার নাছির উদ্দিন ও বিএনপি নেতা আবু বক্কর।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আলীকদম উপজেলা পরিষদ রাস্তার কার্পেটিং কাজ চলাকালে এলজিইডির কোনো কর্মকর্তাকেই দেখা যায়নি। শুধু ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরাই কার্পেটিং করার কাজটি করে। তারা আরো অভিযোগ করেন, নিম্নমানের বিটুমিন ও লোকাল পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যেখানে কার্পেটিংয়ের ১২ মিলিমিটার প্রলেপ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার প্রলেপ দিয়েই কাজ শেষ করছে। কোনো ধরনের ‘ট্যাক কোট’ না মারার কারণে বৃষ্টির পানিতে উঠে যাচ্ছে এসব।
পরিচয় গোপন রাখা সত্ত্বে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, জনৈক নাছির উদ্দিন সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সহযোগীতায় তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজটি করেছে। নিম্নমানের লোকাল পাথর ব্যবহারের পাশাপাশি নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে এই কাজে। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার কার্পেটিং গুলো উঠে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার নাছির উদ্দিন সাংবাদিককে বলেন, আমি কে-হোসাইন অ্যান্ড কোং লাইন্সেস এর নামে কার্পেটিংয়ের কাজটি বাস্তবায়ন করেছি। তবে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এলজিইডির আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলী শান্তু ঘোষ সাগর রাস্তা মেরামতের এক সপ্তাহের মধ্যে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
You must be logged in to post a comment.