১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের নামে চালানো বর্বরতাকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় ৪৬ বছর পর এ স্বীকৃতি দেয়া হল।
১১ মার্চ শনিবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনেন ফেনী-২ আসনের জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হউক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্মীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হউক’।
স্পিকার ড. শিনীর শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে এ প্রস্তাবের ওপর একই দিনে রেকর্ডসংখ্যক ৬২ জন সংসদ সদস্যের প্রায় সাত ঘণ্টা আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে কন্ঠভোটে গৃহীত হয়। এর মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সংঘটিত গণহত্যার দিনটি জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণহত্যার সংজ্ঞা তুলে ধরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর ‘জেনোসাইড’কে কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ীই আমাদের সুযোগ রয়েছে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে গ্রহণ করতে।
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হোক। কারণ এই গণহত্যার রূপ যারা দেখেছে তারা কোনো দিন ভুলতে পারবে না। সংসদে যে ভিডিও চিত্র দেখলাম। সেখানে কতটুকুই বা আছে। এরকম বহু ঘটনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছে।
সংসদ নেতা বলেন, সংসদে ২৫মার্চ গণহত্যা দিবসের যে প্রস্তাবটি এসেছে তা আমরা সমর্থন করছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার কথা স্মরণ করে ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন। ওই দিন এ বিষয়ে সংসদে আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.