বার্সার জার্সিতে ক্যারিয়ারের ৫০০তম ম্যাচেও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরলেন লিওনেল মেসি। করেছেন তার ক্যারিয়ারের ৪২৫তম গোল। সেইসঙ্গে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে দলও পেল ৪-০ গোলের বড় জয়। আর বছর শেষে লা লিগার শীর্ষস্থানটাও নিজেদের করে রাখল কাতালান ক্লাবটি।
লা লিগায় আগের দুই ম্যাচে ভালেন্সিয়া ও দেপোর্তিভো লা করুনার সঙ্গে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচে অসাধারণ জয় নিয়েই বছর শেষ করল তারা।
নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বুধবার শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে লুইস এনরিকের দল। প্রথমার্ধের ২২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা, কিন্তু মেসির ফ্রি-কিক পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। যদিওবা গোল পেতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। গোলরক্ষকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মেসি পড়ে গেলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তোলায় বেটিসের কোচ পেপে মেলেকে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি।
কিন্তু পেনাল্টি নিতে গিয়ে ক্রসবারে বল মেরে সহজ সুযোগটা নষ্ট করেন নেইমার। রাকিটিচ ফিরতি বলে শট নিতে গিয়েছিলেন, তবে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বেটিসের এক খেলোয়াড় নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। এর তিন মিনিট পর দলের সেরা দুই তারকা মেসি-নেইমারের দারুণ বোঝাপড়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালান ক্লাবটি। নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল ডিফেন্ডারদের ফাঁক দিয়ে ঠিকই মেসিকে খুঁজে নেন। বার্সেলোনার জার্সিতে ৫০০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করেন টানা চারবারের বর্ষসেরাে এই ফুটবলার। আর এটাই তার বার্সেলোনায় ক্যারিয়ারের ৪২৫তম গোল।
বিরতির পর শুধুই সুয়ারেজ শো। প্রথম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন লুইস সুয়ারেস। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের এই গোলে জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি একটা রেকর্ডও গড়ে বার্সেলোনা। স্পেনের দলগুলোর মধ্যে এক বছরে সর্বোচ্চ গোল এখন তাদেরই।
এরপরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ‘এমএসএন’ নামের বার্সেলোনার আক্রমণভাগ। ৬১ মিনিটে আরেকটি গোল পেয়ে যেতে পারতো তারা। কিন্তু প্রথমে মেসির শট রক্ষণে বাধা পাওয়ার পরমুহূর্তেই নেইমারের শট পোস্টে লাগে। ৬৯ থেকে ৭৫, এই ছয় মিনিটে আরও কয়েকটি গোল পেতে পারতো তারা। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে গোলপোস্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের ৮৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সুয়ারেজ। আদ্রিয়ানের নীচু ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর নেইমারের পায়ের ফ্লিকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ১৫টি গোল করে এবারের লা লিগায় গোলদাতার তালিকায় শীর্ষেও উঠে এলেন তিনি। সমান ১৪টি করে গোল নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছেন যথাক্রমে নেইমার ও রোনালদো।
এ জয়ে লিগের শীর্ষে থেকেই বছরটা শেষ করল বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট সংগ্রহ তাদের। ১৭ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৮। সমান ম্যাচ খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান রিয়াল মাদ্রিদের।
সূত্র: প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.