সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / ৬ ঘণ্টায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১১

৬ ঘণ্টায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১১

কুমিল্লা, নীলফামারী, ফেনী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিরা ‘মাদক ব্যবসায়ী’ ঘটনাস্থল থেকে জিপ, মটর সাইকেল, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।

সোমবার (২১ মে) দিনগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার (২২ মে) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। সময় নিউজের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

কুমিল্লা: কুমিল্লার জগন্নাথপুরের অরণ্যপুর এলাকায় মাদক বেচা-কেনা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২১ মে) রাতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাদক ব্যবসায়ী পেয়ার আলী ও শরিফ নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় একজনকে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাজেরো জিপ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

ফেনী: ফেনী সদরের লেমুয়া এলাকায় মাদক উদ্ধার করতে গেলে র‌্যাবের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত মঞ্জুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও মাদক মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

নীলফামারী: নীলফামারীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জনি ও শাহীনকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সৈয়দপুরের গোলাহাট বদ্ধভূমিতে মাদকের বড় চালান উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তারা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলেই জনি ও শাহীন নিহত হন।

চট্টগ্রাম: তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের বায়েজীদ থানার ডেবারপাড় এলাকায় মাদক উদ্ধারে অভিযান চালায় র‌্যাব-৭। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, ইয়াবা ও গাজাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শুক্কুর আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শুক্কুরের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১০টিরও বেশি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দিনাজপুর, নেত্রকোনা ও চুয়াডাঙ্গায় গুলিতে আরো ৪ জন নিহত হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই তালিকাভুক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামার ইয়াংছা-ত্রিশডেবা সড়কের বেহালদশা : ২৭টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে; কক্সভিউ ডট কম; coxview.com; https://coxview.com/rarfiq-road-14-09-2024-3/

লামার ইয়াংছা-ত্রিশডেবা সড়কের বেহালদশা : ২৭টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে

লামা (বান্দরবান) খানাখন্দ ভরা ও চলাচল অনুপযোগী ইয়াংছা-ত্রিশডেবা সড়কের দৃশ্য।   মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/