বকেয়া পরিশোধ না করায় ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে ১১টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ৯০।
৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ টেলিকমে এক-তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পল্লীফোন ছাড়াও নকিয়া ও হুয়াওয়ের সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এ মুনাফা কর্মীদের পরিশোধ করা হয়নি। গত দশকে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার পাঁচ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের পরিশোধ, ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডে জমা দেওয়ার কথা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ প্রিয়.কমকে জানান, মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরও ৭৯টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০টি।
২০০৬ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র:সফিউল আলম রাজা-priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.