গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফ হোয়াইক্যং নাফনদী সীমান্তে আবারও বিজিবি’র সাথে মাদক পাচারকারীদের মধ্য গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে। বিজিবি’র দাবী এঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমান ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, ২০ অক্টোবর গভীর রাত দেড়টার দিকে বিজিবি গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উনচিপ্রাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ মদিনার জোড়া নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী উনচিপ্রাং বিওপিতে দায়িত্বরত বিজিবির একটি টহল দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর দূর থেকে লক্ষ্য করে দেখা যায় ১জন লোক নাফনদীর কিনারায় ঘুরাঘুরি করছে। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একটি হস্ত চালিত কাঠের নৌকা দিয়ে বাংলাদেশের জলসীমা দিয়ে প্রবেশ করছে।
আরো কয়েকজন লোক এরপর বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দেয় মাদক পাচারকারীরা সেই আদেশ অমান্য করে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবি’র ২ সদস্য আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে ১জন যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে তাকে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত যুবক হচ্ছে,হোয়াইক্যং কান্জরপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের পুত্র রহিম উদ্দিন (৩৭), এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে এক কোটি, ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৩রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
সত্যতা নিশ্চিত করে, টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান বলেন, টেকনাফ সীমান্ত উপকূল ব্যবহার করে যারা এখনো মাদক পাচার অব্যাহত রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই জড়িত অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
You must be logged in to post a comment.