কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীতে এক রিক্সা চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে বিক্রিকালে তিনজনকে আটক করা হয়। জানা যায়, ২২ জানুয়ারী বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পোকখালী ইউনিয়নের মালমুরা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ ওবাইদুল হক মাঝির পুত্র মোহাম্মদ ওমর ফারুকের অটোরিক্সাটি ভাড়া করে তিন যুবক। তারা ওই ভাড়াকৃত গাড়ী নিয়ে চৌফলদন্ডীর কিয়াং ঘর ও ইসলামপুর বাজারসহ নানা স্থান ঘুরে ফিরে দেখে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কৌশলে ইসলামপুরের সেতাইন্যাঘোনা নামক এলাকায় নিয়ে সেখানে অটোরিক্সায় থাকা ওই যুবকরা চালক ফারুককে দা দিয়ে কুপায় এবং ক্ষুর দিয়ে পায়ের আঙ্গুল কেটে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ফারুকের অটোরিক্সাটি ইসলামাবাদ ফকিরা বাজার নামক এলাকায় এনে বিক্রির চেষ্টাকালে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে স্থানীয় বশির মেম্বারের ভাতিজা নজরুল ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এবং নিহতের আত্মীয়-স্বজনকে খবর দেয়।
তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক পূর্বক রিক্সাটি জব্দ করে। আটককৃতরা হল মতি ত্রিপুরা (২২), পিতা- চিতারাং ত্রিপুরা, সাং- ছত্র পাড়া, আলী কদম, একই এলাকার প্রীতি ত্রিপুরা (১৮), পিতা- বালেস্টর ত্রিপুরা ও পোকখালী নতুন বাজার এলাকার আবুল কালামের পুত্র আজহারুল ইসলাম (২০)। তাদের আটকের খবরে নিহত রিক্সা চালক ফারুকের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী আটককৃতদের দেখতে তদন্ত কেন্দ্রে ভিড় জমায়।
অন্যদিকে ২৩ জানুয়ারী ভোরবেলায় ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিক্সা চালক ফারুককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ সংবাদে এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। পাশাপাশি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীও করছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে নিহত ফারুকের মামা শফিকের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাঁর ভাগিনা ফারুককে নির্মমভাবে হত্যা করায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।
অন্যদিকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
You must be logged in to post a comment.