সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টিতে তৎপর মায়ানমার

তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টিতে তৎপর মায়ানমার

তুমব্রু সীমান্ত

শহীদুল্লাহ্ কায়সার; সীমান্তের তুমব্রু থেকে ফিরে..

বাংলাদেশকে উস্কে দিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে চাইছে মায়ানমার। কোন ধরনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নেই। একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে দেশটি এখন তুমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার উপর একই ধরনের চাকতি নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে পুরোদমে। আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশের ভূমির উপরিভাগ।

বুধবার তুমব্রু সীমান্তে গিয়ে দেখা গেছে, মায়ানমার সেনাবাহিনীর সাদা পোশাকধারি তিন সদস্য বসে আছে কাঁটাতারের বেড়ার উপর। কাঁটাতার যাতে শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য কৌশল করেই বসেছিলো তারা। তাদের সবার এক পা মায়ানমারের ভূমির উপর। আর অন্য পা বাংলাদেশের ভূমির উপর। বেড়ার উপর ওয়েল্ডিং এর সাহায্যে ঝালাই কাজের সুবিধার্থে নিজেদের পায়ের অবস্থান এমন কৌশলে রেখেছে তারা। এভাবেই বিকেল পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ।

তুমব্রুর কোনারপাড়া, চাকমাপাড়া থেকে শুরু করে সীমান্তের বিশাল অংশের কোথাও নতুনভাবে চলছে  দুই স্তরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ। আবার কোথাও চলছে বেড়ার উপর কাঁটাতারের চাকতি নির্মাণের কাজ। এই কাজে অংশগ্রহণ করেছে সাদা পোশাকধারি মায়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বেড়া নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের কাজ দেখভাল করার জন্য মাঝে মাঝেই আসেন মায়ানমার সেনাবাহিনীর পেট্রোল দলের সদস্যরা। কিছুক্ষণ অবস্থান করে আবার অন্য কোন গন্তব্যের দিকে চলে যায় তারা। তুমব্রুর বাংলাদেশের ভ‚মি থেকে যা সুস্পষ্ট দেখা যায়।

বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন জেনেও বিজিবি’র সদস্যরা কিছুই করতে পারছেন না। শুধু চেয়ে থাকেন মায়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের আইন লঙ্ঘন করে বলপূর্বক বেড়া নির্মাণের কাজ। গতকাল নির্মাণাধীন কাজের অদূরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয় বিজিবির এক সদস্যের। তিনি আক্ষেপের সঙ্গেই বলেন, মায়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা আইনের কোন তোয়াক্কা করে না। যে কোন মুহূর্তে ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ কারণে এই প্রতিবেদককে সতর্কতার সাথে বেড়ার উপর চাকতি নির্মাণের ছবি তোলার অনুরোধও করেন তিনি।

এদিকে, অন্যান্য দিনের মতো গতকালও মায়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের স্থান ত্যাগের আহবান জানানো হয়। অন্যান্য দিনের মতো গাছে মাইক টাঙিয়ে বলা হয়, এখানে (জিরো পয়েন্টে) থাকা অবৈধ। তোমরা অন্য কোন স্থানে চলে যাও। প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে চলে এই মাইকিং।

এমনিতেই বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা আতঙ্কে কাটাচ্ছে দিন। স্থান ত্যাগ করতে তাদের ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে মায়ানমার। মায়ানমারের সৈন্যরা মইয়ের সাহায্যে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে নো-ম্যানস ল্যান্ডে প্রবেশ করে ভঙ্গ করেছে আন্তর্জাতিক আইন। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গারা আগের চেয়ে আরো বেশি আতঙ্কিত। এমন কথাই জানালেন সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গা আব্দুর রহিম।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতার মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের পিতা হাজী নূর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/