সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরেখায় আটকে পড়া রোহিঙ্গারা শঙ্কিত

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরেখায় আটকে পড়া রোহিঙ্গারা শঙ্কিত

ফাইল ফটো

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে চলতি সপ্তাহে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখায় তুমব্রু কোনারপাড়া অংশে পাঁচ শতাধিক সেনা ও বিজিপি সদস্য হাজির হয়ে কাটা তারের বেড়ার কাছে টহল শুরু করে। কিছু সেনা সদস্য কাটাতারের পাশের পাহাড়ে চৌকিতে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে অস্ত্র থাক করে থাকেন। এর পর পাহাড়ে পরিখা খনন করে বাংকার তৈরি করতে দেখেছেন শূন্যরেখায় আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা। এতে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা শঙ্খিত হয়ে পড়েছেন। খেয়ে না খেয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।

সেনা মোতায়েনের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে বিলম্বিত করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার  সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্টির প্রায় ৭ লাখ মানুষ। বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন ১০ লাখ ছাড়িয়েছে অনেক আগে থেকেই। এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা আরো প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গা দুই দেশের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ড তুমব্রুতে অবস্থান করছে।

মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তরেখায় আটকে পড়া এই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্খা ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘের উদ্বাস্ত ও মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের সা¤প্রতিককালে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ওই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। এতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতা সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, সময় ও পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অনুকুলে নয়। সহিংসতার স্বীকার হওয়া মানুষগুলোর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দাবিও তাদের রয়েছে।

এনজিওদের অনিয়ম ও স্থানীয়দের চাকরির দাবিতে আগামীতে ৩৬ ঘন্টার অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাঝি (নেতা) (মোরশেদ আলম বলেন, যেসব কারণে আমরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছি সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিলে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমরা ফিরে যাবো। এর আগ পর্যন্ত আমরা ফিরে যাবো না। এখানে আমরা অনেক সুখে আছি।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ইসলামাবাদে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ : আহত ৮

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/