মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
বান্দরবানের লামায় গত শনিবার (৩ মার্চ) রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে পাচারকালে বিজিবি অভিযানে আটক ৯ ট্রাক পাথর নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর-রামগতি এলাকা হতে পাথর ভর্তি ৯টি ট্রাক আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন বনপুর ত্রিশডেবা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।
এদিকে পাথর আটকের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অবৈধ পাথর ব্যবসায়ী এবং জব্দ পাথরের বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলা প্রশাসন হতে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম। তিনি আরো বলেন, আটক ট্রাক সহ পাথর গুলো বনপুর ত্রিশডেবা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ৫দিন যাবৎ পাহারা দিচ্ছে। বিশেষ করে বান্দরবানে নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করাই আইনী সিদ্ধান্তে যেতে কিছুটা সময় লাগছে।
বনপুর ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মুমিরুল হক জানান, ৫দিন যাবৎ আমরা পাথরের ট্রাক গুলো পাহারা দিচ্ছি। এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি উপর মহল থেকে। অবৈধ পাথরের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন আইনী পদক্ষেপ নিতে অনিহা প্রকাশ করছে।
বান্দরবানের সদ্য যোগদান করা জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমি আজ বুধবার বান্দরবানে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ৯ ট্রাক পাথর আটকের বিষয়টি জেনে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় পাহাড়ি বাঙ্গালীদের কাছ থেকে জানা যায়, ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ছমুখাল, পাইকঝিরি, ওয়াক্রা পাড়া, খ্রিস্টান পাড়া, মরা ঝিরি, চচাই পাড়া, কেরানী ঝিরি, কইতরের ঝিরি, বুদুম ঝিরি, চিনির ঝিরি, গয়ালমারা, বালস্ট কারবারী পাড়া ঝিরি, জোয়াকি পাড়া, বাকঁখালী ঝিরি, হরিণ ঝিরি, রবাট কারবারী পাড়া ঝিরি, বালুর ঝিরি, আলিক্ষ্যং ঝিরি, কাঁঠালছড়া ও বদুর ঝিরি হতে প্রতিরাতে শতশত গাড়ি অবৈধ পাথর উত্তোলন হয়ে পাচার হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। পাথর পাচারে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাট ভেঙ্গে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
You must be logged in to post a comment.